গুলিবিদ্ধ কক্সবাজার শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী ও জহিরুলের সমর্থকরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবরোধ করেছে।

রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ লিংক রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে। ফলে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে পায়ে হেঁটে কক্সবাজার শহরে প্রবেশ করছে।

শ্রমিকনেতাদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের অভিভাবক জহিরুল ইসলাম সিকদারের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। প্রশাসন এখনো তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। তার প্রতিবাদে আমাদের এ অবরোধ। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী গ্রেফতার হবে না, ততক্ষণ এ অবরোধ চলবে।

রোববার দুপুরে চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গুলিবিদ্ধ জহির। তার মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চমেকে থাকা জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস।

নিহত জহির ইসলাম সিকদার কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংক রোড এলাকার মোহাম্মদ জামাল আহমেদের ছেলে। তিনি জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী কুদরত উল্লাহ। তিনিও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। 

গেল শুক্রবার রাতে ঝিলংজার লিংক রোড এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আরেক মেম্বার প্রার্থী লিয়াকতের লোকজন এসে কুদরত উল্লাহর নির্বাচনী অফিসে অতর্কিত গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় মেম্বার প্রার্থী ও তার ভাই গুলিবিদ্ধ হন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

মুহিববুল্লাহ্ মুহিব/এসপি/এনএ