কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে আয়ান নামে ১৬ দিন বয়সী এক নবজাতককে শৌচাগারে বালতির পানিতে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনার মূল রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার বিবরণ শুনে অবাক হয়েছে পুলিশও।

এ ঘটনার ৫ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাতে শিশুটির মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হলে মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা পুলিশের ওসি মো. শাহিন। 

তিনি জানান, ঘটনার দিন শিশুটির মা সাকিলা বেগম সন্তানকে গোসল করাতে গিয়ে হঠাৎ হাত থেকে আয়ান পানি ভর্তি বালতিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পানি থেকে তুলে নিয়ে দেখেন আয়ান আর বেঁচে নেই। তবে এ সময় বাসায় কেউ ছিলেন না।

এ ঘটনার পর আয়ানের মা সাকিলা স্বামী ও শাশুড়ির ভয়ে মৃত সন্তানকে বালতির পানিতে রেখে রুমে চলে যান। পরে নাটক সাজিয়ে বলেন, আমি সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। ঘুমন্ত অবস্থায় কে বা কারা আয়ানকে আমার কোল থেকে নিয়ে বালতির পানিতে ফেলে দেয়। স্বামী ও শাশুড়িকে দিয়ে এ মিথ্যা কথা তথ্য ছড়ানো হয় সবার কাছে। আর এমন বিবরণ শুনে অবাক হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তারাও।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলার ভৈরব শহরের কালিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পেশায় টিভি মেকানিক ইদ্রিস ও সাকিলার প্রথম সন্তান আয়ান। শিশু আয়ান ইদ্রিস মিয়া ও শাকিলা বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান।

এ ঘটনার পর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে এবং ওই দিনই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।

ওসি মো. শাহিন আরও জানান, থানায় স্বামীর সঙ্গে তার স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সেও এ সত্য ঘটনাটি আমার কাছে স্বীকার করেন। আমি দুজনের কথা শুনে হতবাক হয়েছি। তবে শিশুটিকে মা হত্যা করেনি, এ কথা সত্য। শিশুটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এসকে রাসেল/এমএএস