শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফরহাদ তাহের মল্লিক (২৭) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়ে পাঁচজন হাসপাতাল রয়েছেন।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত ফরহাদ তাহের মল্লিক উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের মল্লিক কান্দির তৈয়ব আলীর মল্লিকের ছেলে। আহতরা হলেন দিদার মুন্সী (২২), রেজু মল্লিক (৩০), ইমামুল মল্লিক (২৫)।

উপজেলার মল্লিক কান্দি এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধে একজন নিহত হন। আর কয়েকজন আহত হন। আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করেছি। তবে এখনো কেউ মামলা করেনি।

আজহারুল ইসলাম সরকার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)

স্থানীয় ও জাজিরা থানা পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল নাওডোবা ইউনিয়নের কালা মিয়ার সঙ্গে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার জুলহাস বেপারীর সঙ্গে। বুধবার ওই জমিতে কালা মিয়ার লোকজন এক্সকাভেটর (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে মাটি কাটছিল। এ সময় জুলহাস বেপারী মাটি কাটতে বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে জুলহাস বেপারী ও তার লোকেরা শটগান দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় ফরহাদ মল্লিকের তলপেটে ও ঊরুতে গুলি লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে তাকে চিকিৎসার জন্য জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অন্যদিকে আহত রেজু মল্লিক ও দিদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। 

এ ব্যাপারে জুলফিকার মল্লিক বলেন, জুলহাস বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি। তিনি এদিকে মাঝেমধ্যেই ত্রাসের সৃষ্টি করেন।

এ বিষয়ে জুলহাস বেপারীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইলফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপজেলার মল্লিক কান্দি এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধে একজন নিহত হন। আর কয়েকজন আহত হন। আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করেছি। তবে এখনো কেউ মামলা করেনি।

মেহেদি হাসান শিহাব/এনএ