ক্রাচ পেয়ে টুকু মিয়ার মুখে হাসি

ক্রাচের অভাবে হাঁটতে না পারা টুকু মিয়া এখন উপার্জন করতে পারবেন। জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে ‘ভেঙে গেছে ক্রাচ, উপার্জন বন্ধ টুকু মিয়ার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের স্কিনশর্ট নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার দেন প্রতিবেদক। সেটা দেখে একজন পাঠক টুকু মিয়ার বাড়িতে একজোড়া ক্রাচ পৌঁছে দেন। এমনকি তার ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে অর্থ সহায়তাও করেন।

টুকু মিয়ার বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রায়পুর গ্রামে। 

ক্রাচে ভর করে টুকটাক উপার্জন করতেন টুকু মিয়া (৪০)। সম্প্রতি ক্রাচটি ভেঙে যাওয়ায় তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি ক্রাচের অভাবে হাঁটতে পারছিলেন না। 

টুকু মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, টুকু মিয়া ঢাকার একটি গার্মেন্টসে আইরনম্যানের কাজ করতেন। ২০১৩ সালে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারান তিনি। তারপর থেকে ক্রাচে ভর করে চলাফেরা করতেন। টুকটাক কাজ করলেও অন্যের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ করতে হতো। সম্প্রতি ক্রাচটি ভেঙে যাওয়ায় জোড়াতালি দিয়ে কিছুদিন চলেন তিনি। কিন্তু এখন আর চলাফেরা করতে পারছেন না। এতে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। 

টুকু জানান, তার দুই ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করছে। বড় ছেলে মনির অষ্টম শ্রেণীতে ও মেয়ে মিম প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। স্ত্রী রহিমা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। দিনমজুরি ও স্ত্রীর আয় থেকে যা পান তাতে ঋণের টাকা শোধ করতে পারছেন না।

টুকুর স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার স্বামী। তিনি পঙ্গু হওয়ার পর খুব কষ্টে তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। সংসার খরচ মিটিয়ে ক্রাচ কেনার দুই হাজার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না।

জালাল উদ্দিন হাক্কানী/এসপি