সরকারি জলাভূমিতে মাটি ভরাট

ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা সংলগ্ন কয়েক শতাংশ সরকারি জলাভূমি কৌশলে দখল করে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃত্বাধীন ওই জলাশয়ের পেছনে কারও কারও দেড়-দুই শতাংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। তারা নিজেদের জায়গায় যাওয়ার অজুহাতে যার যার সামনের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ৪-৫ শতাংশ করে জলাভূমি দখল করে মাটি ও বালু দিয়ে ভরাট করে রাস্তা তৈরি করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কেউ কেউ মার্কেট বানানোরও পাঁয়তারা করছেন।

জানা যায়, মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জলাভূমির পশ্চিম সীমানায় পৌরসভার শিবপুর মৌজার রিজাউল হক, রেজাউল করিম, আমীর হোসেন ও জামির হোসেনের ব্যক্তি মালিকানাধীন ৮ শতাংশ জমি রয়েছে। এই জমি লাগোয়া সড়ক ও জনপথের ৩ কোটি টাকার অধিক মূল্যের আরও প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ জলাভূমি কিছুদিন ধরে রাতের আঁধারে ভরাট করছেন ওই ব্যক্তিরা। 

সরকারি জলাভূমি দখলকারী অভিযুক্ত আমীর হোসেন বলেন, সড়কঘেঁষা আমাদের কয়েকজনের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি রয়েছে। মূলত জমির সামনের জমি আরও অনেকেই ভরাট করছেন। তবে সরকারি জমিতে আমি কোনো স্থাপনা নির্মাণ করছি না। শুধু নিজের জমির সামনে ভরাট করছি। অপর দখলদার রেজাউল করিম জানান, পেছনে আমার জমি রয়েছে। আমি আমার জমিতে কীভাবে যাব? 

ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খ. ম. রকিবুল বারী বলেন, ওই স্থানে অফিস থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে। তাদেরকে নোটিশ দিয়ে মাটি দিয়ে জলাশয় ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দ বলেন, উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যেই সড়ক ও জনপথকে চিঠি দিয়েছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে সীমানা নির্ধারণ করে দিতে। তারা সীমানা নির্ধারণ করে দিলেই সকল ধরনের দখল উচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বি কে সিকদার সজল/এমএসআর