জাহাঙ্গীর আলম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নওগাঁর আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাহিদ রনি (৩৭) নামে এক যুবক মামলাটি করেন।

নাহিদ রনি ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক। তিনি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

নওগাঁর আমলি আদালত ৫- এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম স্বপন জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও ধর্ষণের শিকার মা-বোনদের সংখ্যা নিয়ে বিবাদী বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছেন। এ বিষয়ে আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী নাহিদ রনি বলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে আমি একজন সচেতন নাগরিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রহমান ও  মুক্তিযোদ্ধাদের নামে জাহাঙ্গীর যে সব মন্তব্য করেছেন, তাতে আমি চরমভাবে আঘাত পেয়েছি। যার কারণে নৈতিকতার স্থান থেকে এ মামলাটি করেছি।  

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও গাজীপুর জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত ২৫ নভেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

দেলোয়ার হোসেন/আরএআর