নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে রেললাইনের দু’পাশে অবৈধভাবে দখল করে আবারও বসছে পুরাতন কাপড়ের নতুন বাজার। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। অপরদিকে ক্রেতারাও মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছেন।

দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ওই পুরোনো শীতবস্ত্রের মৌসুমী বাজার ইতোমধ্যে জমে উঠেছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, এতে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি ও বিঘ্নতা ঘটছে। অপরদিকে ক্রেতাদেরও ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুর  রেলওয়ে স্টেশন থেকে দক্ষিণে আউটার সিগন্যাল হয়ে হাতিখানা ফল মার্কেট পর্যন্ত রেললাইনের উভয়পাশে দুই কিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে জমে উঠেছে পুরাতন কাপড়ের নতুন বাজার। ওই এলাকায় রেললাইনের উপরেই বসানো হয়েছে দোকানপাট।

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, রেলপথের উভয়পাশ ক্লিয়ার না থাকলে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ইঞ্জিনের লোকো মাস্টার (চালক) অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

কমিউনিস্ট পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড দেলওয়ার হোসেন জাভিস্কোর ঢাকা পোস্টকে বলেন, পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় দোকানের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ফলে ওই এলাকায় ট্রেন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোপূর্বে রেলগেট এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের একজন সদস্যসহ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। তিনি রেলপথ এলাকা থেকে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।

রেলপথের দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, জায়গাটি শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে হওয়ায় শীতকে ঘিরে এলাকাটি জমজমাট হয়ে উঠেছে। আশেপাশে জেলা ও উপজেলার ক্রেতারা এখানে ভিড় করেন। তিনি এসব দোকানপাট উচ্ছেদ না করতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শহরে কোনো হকার্স মার্কেট নেই। আমাদের উপায়ও নেই। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাধ্য হয়ে রেলপথে দোকান সাজিয়েছি। মাঝেমধ্যে পুলিশ আমাদের পেটে লাথি মারে, তখন আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে জানান, দু-একদিন পরপর ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলছে কিন্ত কোনো ফল মিলছে না। আবার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রেলওয়ের আইন অনুযায়ী রেলপথের উভয় পাশের ১০ ফুট জায়গার মধ্যে স্থাপনা বসানো যাবে না। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে পুলিশ কঠোর হবে।

এমএসআর