ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কৃষক মাসুদ পারভেজের স্কোয়াস ক্ষেত

মাসুদ পারভেজ। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সবজি চাষি। ইউটিউবে রাজবাড়ীর এক কৃষকের স্কোয়াস চাষের ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে মাসুদও শুরু করেন স্কোয়াস চাষ। সুস্বাদু এ সবজি চাষ করে তিনি সাত লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন।

জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ইতালিয়ান সবজি স্কোয়াস চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সবজি হিসেবে একেবারে নতুন হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে মানুষও কিনছেন। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার একমাত্র কৃষক হিসেবে স্কোয়াস চাষ করছেন মাসুদ পারভেজ। তিনি বোয়ালমারী পৌরসভার রায়পুরে ৪ একর জমি লিজ নিয়ে স্কোয়াস চাষ করে সাত লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন। 

মাসুদ পারভেজ বলেন, বীজ লাগানোর সাতদিনের মধ্যে চারা গজায়, এক মাসে ফুল হয়। আর দুই মাসে বিক্রির উপযোগী হয়। 

তিনি আরও বলেন, নভেম্বরে ১৬ হাজার স্কোয়াসের বীজ বপন করেছিলাম। তা থেকে বাছাই করে ১০ হাজার গাছ রেখেছিলাম। প্রতিটি গাছ থেকে ৮/১০টি স্কোয়াস সংগ্রহ করছি। 

বীজতলা তৈরি, বীজ ক্রয়, পানি সেচ, সার ও কীটনাশক ক্রয়, পরিবহন ইত্যাদি বাবদ মাসুদের ব্যয় হয়েছে ৮ লাখ টাকা। প্রতিদিন দুইজন শ্রমিক ক্ষেতের পরিচর্যা করেন। উৎপাদিত সমস্ত সবজি বিক্রি হলে মাসুদের প্রায় ৭ লাখ টাকা লাভ হবে বলে তিনি জানান।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হযরত আলী জানান, স্কোয়াসের জীবনকাল ৭৫ থেকে ৮০ দিন। এটি মূলত একটি শীতকালীন সবজি। বেলে-দোআঁশ মাটিতে বছরের নভেম্বরের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে এর বীজ বপন করতে হয়। বপনের ৫০ দিন পর থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি স্কোয়াসের ওজন দেড় থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সবুজ ও লম্বাকৃতির কিছু সাদা রংয়ের স্কোয়াসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ই, কেসহ কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন রয়েছে। লাউ ও মিষ্টিকুমড়ার বিকল্প সুস্বাদু সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে হয়। এর পাতা ও কাণ্ড সবজি হিসেবে খাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, বারি স্কোয়াস-১ জাতটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট কর্তৃক অবমুক্ত হয়েছে। স্কোয়াস বীজ সরাসরি জমিতে রোপণ করা যায়। তবে ছোট আকারের পলিথিন ব্যাগে চারা উৎপাদন করে বা প্লাস্টিক ট্রেতে করে তা জমিতে রোপণ করলে ভালো হয়।

বি কে সিকদার সজল/এসপি