দরবেশহাট থেকে আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয় /ছবি- ঢাকা পোস্ট

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা আনোয়ার হোসেন (৪২) নিখোঁজ হওয়ার ৩০ দিনের মাথায় খোঁজ মিলেছে। তবে জীবিত নয়, মৃত। দুই থেকে তিনজনের সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা দল টাকার জন্য আনোয়ারকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছে তার বাড়ির পাশেই।

আনোয়ার হোসেন গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) মো. আনসার নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) লোহাগাড়ার দরবেশহাট থেকে আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আনোয়ার হোসেন লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি। তিনি লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের মৃত আহমদ সওদাগরের ছেলে। পেশায় তিনি গরু ব্যবসায়ী।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন ঢাকা পোস্ট কে বলেন, আটক রোহিঙ্গা স্বীকার করেছে টাকার জন্য ওই জাপা নেতাকে হত্যা করেছে তারা। হত্যা করে আনোয়ার হোসেনকে তার বাড়ির গোয়াল ঘরের পাশে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

আনোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর আনোয়ার তার দরবেশহাট সওদাগরপাড়া এলাকার খামারবাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকে টমটমযোগে বটতলী মোটর স্টেশনে ফোরকান টাওয়ারে তার বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। তিনি কোনো আত্মীয়স্বজনের বাসায়ও যাননি।

আনোয়ারের ছোট ভাই মো. সেলিম বলেন, ‘আমার ভাই আনোয়ারের তেমন কোনো শত্রু নেই। তবে তার কাছে ব্যবসা-বাণিজ্যের টাকা-পয়সা থাকে। আমরা ধারণা করছি- টাকার জন্য তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।

তিনি জানান, নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন পর হঠাৎ অপরিচিত এক ব্যক্তি আমার মুঠোফোনে কল করে প্রথমে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এক পর্যায়ে আমি এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিতে রাজি হই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর নম্বরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ওএফ