খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনের সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাহান সাথী। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রটি আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। শনিবার বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে হঠাৎ দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গোলাগুলির  ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেখানে আগ থেকেই উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাহান সাথী। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন জিতুর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মামুনুর রশিদ। খবর পেয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

জানা গেছে, রামগঞ্জে ১৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রও ছিল। 

পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার দিলীপ কুমার নাথ জানান, কেন্দ্রের বাইরের সড়কে হামলা হয়েছে। এতে আতঙ্কে ভোটাররা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর