লক্ষ্মীপুরের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বরকত উল্লাহকে ফেনী থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। 

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের একটি পত্রিকা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তার মা সালেহা বেগম। এ সময় বরকতের বড় ভাই সালাহ উদ্দিন ও বোন বিউটি বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এ দিকে ফেনী থেকে নিখোঁজ হওয়ায় বরকতের মা সালেহা বেগম জিডির আবেদন করলেও তা গ্রহণ করেনি পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, বরকত হত্যা, অস্ত্র ও নারী নির্যাতনসহ কয়েকটি মামলার আসামি। পুলিশও তাকে খুঁজছে।

বরকত সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে বরকতের মা সালেহা বেগম বলেন, বরকত প্রায় দুই বছর ওমান ছিল। সেখান থেকে এসে চট্টগ্রামে সে গার্মেন্টসের মালামাল কিনে বিক্রি করত। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রিজার্ভ একটি গাড়ি দিয়ে লক্ষ্মীপুর আসছিল। কিন্তু কে বা কারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

বরকতের বোন বিউটি বেগম বলেন, ঘটনার দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বরকত আমাকে ফোন দিয়েছে। সে তখন বলেছে রিজার্ভ গাড়ি থেকে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ পরিচয়ে তাকে নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বরকতের বড়ভাই সালাহ উদ্দিন বলেন, তিনদিন ধরে আমার ভাইকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। চন্দ্রগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলেও পুলিশ নেয়নি। আমাদেরকে থানা থেকে বের করে দিয়েছে। আমার ভাই অপরাধী হয়ে থাকলে আইনের মাধ্যমে তার সাজা হোক। তাকে যেন গুম করে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা সাজিয়ে মেরে ফেলা না হয়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানা নেই।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, ফেনী থেকে বরকত নিখোঁজ হন। তার পরিবারকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমরা জিডি নিইনি। বরকত হত্যা, অস্ত্র ও নারী নির্যাতনসহ কয়েকটি মামলার আসামি। তাকে আমরাও খুঁজছি। কিন্তু তাকে পাচ্ছি না।

হাসান মাহমুদ শাকিল/আরআই