শিক্ষায়-অর্থে জয়নালের থেকে এগিয়ে খলিফা
জয়নাল আবেদীন ও তাকজিল খলিফা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাকজিল খলিফা শিক্ষা ও অর্থে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দুর চেয়ে এগিয়ে আছেন।
স্বশিক্ষিত জয়নালের আয়ের উৎসের ক্ষেত্রেও স্নাতক পাশ খলিফার থেকে পিছিয়ে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামা থেকে এ সকল তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, তাকজিল খলিফা পেশায় এখন ব্যবসায়ী। তিনি বেশ কয়েকটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন হলফনামায়। এর মধ্যে মাছ চাষ, গবাদি পশুর খামার, পোল্ট্রি ফার্ম ও আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা করে বছরে আয় করেন ৪৪ লাখ ৫৪ হাজর ৩০০ টাকা। এছাড়া কৃষি খাত থেকে বছরে ৫ হাজার টাকা এবং সম্মানি ভাতা হিসেবে তার আরও আয় হয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
হলফনামায় খলিফা তার ওপর নির্ভরশীলের বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তার কাছে নগদ ও ব্যাংকে ২৯ লাখ ৪১ হাজার ১৬৭ টাকা, স্ত্রীর নামে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নিজের কাছে ২১ তোলা স্বর্ণালংকার এবং স্ত্রী কাছে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার থাকার কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। এছাড়া খলিফার কাছে একটি পিস্তলও রয়েছে।
স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে খলিফার নিজের নামে ৩৩৯.৪৯ শতাংশ এবং স্ত্রীর নামে ২৪৮ শতাংশ কৃষি জমি রয়েছে। এছাড়া ৩১.৮১ শতাংশ অকৃষি জমি, দুটি দালান (বাণিজ্যিক/আবাসিক) ও একটি বাড়ি রয়েছে খলিফার। তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা এবং ধারদেনা নেই।
অন্যদিকে, বিচারাধীন একটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত জয়নাল তার হলফনামায় বলেছেন, কৃষিখাত থেকে বছরে তার আয় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা আর অন্যান্য উৎস থেকে আয় হয় ৮০ হাজার টাকা। আব্দুর ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
বর্তমানে অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণ, ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র এবং ব্যবসার পুঁজি হিসেবে ৪০ লাখ ৬০ হাজার ৫২০ টাকা রয়েছে জয়নালের কাছে।
এছাড়া স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ১৫ একর কৃষি জমি, ১৪.৯৩ শতাংশ অকৃষি জমি, আধাপাকা ঘর থাকার কথা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। তারও কোনো ধার-দেনা নেই।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আখাউড়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে চারজন ও সাধারণ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের প্রচারণা জমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রচার-প্রচারণা।
আজিজুল সঞ্চয়/এসপি