সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায় দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন পরিষদের বিদায়ী চেয়ারম্যান উপজেলা যুবদল নেতা এম এ বারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের আসবাবপত্র নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন কাণ্ডে উপজেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সোমবার (৩ জানুয়ারি) তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সোমবার সাবেক চেয়ারম্যান এম এ বারীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এম এ বারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে রাতের আঁধারে একটি চেয়ার, একটি টেবিল, একটি ফাইল কেবিনেট, সৌরবিদ্যুতের সোলার প্যানেল ও ক্যাবল, প্রতিটি রুমের বৈদ্যুতিক বালবসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম তার হেফাজতে নিয়ে যান। দায়িত্ব হস্তান্তরের দিন পরিষদ কার্যালয়ে আসবাব কিছুই পাওয়া যায়নি। এ সময় বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ফাইলে মালামাল বুঝে না পাওয়ায় স্বাক্ষর করেননি।

বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান এম এ বারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার পছন্দের কেনা টেবিল ও চেয়ারের পরিবর্তে অন্য টেবিল ও চেয়ার রেখে এসেছি। যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সবগুলোর পরিবর্তে আমি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আরও আসবাবপত্র দিয়েছি। ঈর্ষান্বিত হয়ে একটা মহল আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাইদুর রহমান আসাদ/এনএ