সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন খান

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে এক কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন খান বলেন, নিবার্চন চলাকালে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা প্রথম থেকেই আমার এজেন্টদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। কয়েকটি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে ৩ নং ওয়ার্ডের দেওজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়। এই কেন্দ্রের ভোটার ২ হাজার ২২৬ জন। ভোটও পড়েছে ২ হাজার ২২৬টি। 

তিনি বলেন, দেওজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মৃত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০০ এবং দেশের বাহিরে রয়েছেন ৩০০ জনেরও বেশি। এছাড়া ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছেন প্রায় ২০০ জন ভোটার। তাহলে তাদের ভোটগুলো কে দিল? আমি ৮টি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনা ও  দেওজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানাই। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন বলেও জানান আনোয়ার হোসেন খান।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুরে দলীয় প্রতীক ছাড়া জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়িয়ার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে ৫ জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তারা হলেন- চশমা প্রতীকের আব্দুল আজিজ সরদার, হাতপাখা প্রতীকের আমির হোসেন, আনারস প্রতীকে আনোয়ার হোসেন খান, মোটরসাইকেল প্রতীকের নাসির উদ্দিন ও ঘোড়া প্রতীকের মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী শান্ত। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। যার মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ডের দেওজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২৬। এই কেন্দ্রে শতভাগ ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের আব্দুল আজিজ সরদার ৪ হাজার ৮২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। 

৩ নং ওয়ার্ডের আনারস প্রতীকের এজেন্ট মো. চুন্নু হাওলাদার বলেন, ভোটগ্রহণ শেষে আমাদের সবাইকে বের করে দেওয়া হয়। আনারসের কোনো এজেন্টকে ভেতরে থাকতে দেওয়া হয়নি। আমি কয়েকবার বলছিলাম ভেতরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু শুনেনি। ফলাফল ঘোষণার আগে ফলাফল শিটে স্বাক্ষর করার জন্য আমাকে জোরাজুরি করে। কিন্তু আমি স্বাক্ষর করেনি। পরে শুনি ওই কেন্দ্রের সব ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

দেওজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. রমজান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা আমার ভুলে হয়ে গেছে। আমি তো মানুষ। লিখতে ভুল হয়েছে। স্থানীয়রা যদি তখন আমার ভুলটা ধরিয়ে দিত তাহলে সমাধান করতে পারতাম। বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর