ববি ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার
স্বামীসহ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল আলম লিটনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় নগরীর সাগরদি ইসলামপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
র্যাব- ৮ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। গুরুত্বপূর্ণ মামলা তাই র্যাব তাকে গ্রেফতার করেছে। আসামিকে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
র্যাব জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনের পেছনে আনন্দ বাজার ব্রিজের উত্তর পাশে পাকা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কথাবার্তা বলার সময় জাহিদ হোসেন জয় ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর কথা বলেন। এর প্রতিবাদ জানালে জাহিদ হোসেন জয় ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। পরে ইউপি সদস্য সাইদুল আলম লিটনের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও তার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাতে জাহিদ হোসেন জয়, মাকুন মোল্লা ও চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল আলম লিটনের নাম উল্লেখ ও আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ওই ছাত্রীর স্বামী সোহাগ হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার রাত ১০টায় মাদারীপুর থেকে প্রধান আসামি জাহিদ হোসেন জয়কে গ্রেফতার করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রীর স্বামীসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইউপি সদস্য লিটনের স্ত্রী লুৎফন নাহার কাজল। তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্নিকটে ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনায় যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে আশা রাখি। পুলিশ ও র্যাব-৮ কে ধন্যবাদ জানাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব মহলের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে গেলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী ও তার স্বামীকে আটকে রেখে চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল আলম লিটনসহ কয়েকজন মিলে তাদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে ববির শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল পাঠাগার, লিটন মেম্বার ও জয়ের বাড়িতে ভাঙচুর করে। সেখান থেকে ফিরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই