চাঁদপুর হাসপাতালে শীতজনিত কারণে বাড়ছে রোগী
হাসপাতালে রোগীর ধারণ ক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ভুগছেন বয়স্ক ও শিশুরা। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালেও এসব রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে।
হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানায়, প্রথমত করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় রোগ-জীবাণুর পরিমাণ বাড়ে। মূলত এইসব কারণে ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শিশু ও বয়স্কদের কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। সব সময় ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ৪ দিনে হাসপাতালে সর্দি, জ্বর, কাঁশি, ও খিচুনি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর শিশু ভর্তি হয়েছে। গত ৪ দিনে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আড়াই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা ১২০ জন। ফলে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় ঠাঁই হয়েছে অনেকের। এ ছাড়া ডাক্তার ও নার্সদের চিকিৎসাসেবা দিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেড় বছরের শিশু রোগীর মা মমতাজ বেগম জানায়, ঠান্ডার কারণে ছেলের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তাই হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, হাসপাতালে প্রায় ২৬০ জনই সর্দি, জ্বর, কাঁশির রোগী। তাদের সেবা দিতে গিয়ে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সদেরকেও বেগ পেতে হচ্ছে। এদের মধ্যে শিশুদের অধিকাংশরই শ্বাসজনিত ও নিউমোনিয়ার রোগী। এ ছাড়াও বয়স্ক নারী-পুরুষও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিব উল করিম বলেন, শীতের এই সময়ে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি থাকে। ওয়ার্ডে বেড স্বল্পতা থাকা সত্ত্বের আমরা চেষ্টা করছি তাদের সেবা দিতে।
শরীফুল ইসলাম/এমএসআর