সোহেল রানা

স্বপ্ন বোনা হলো না ইতিহাস বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহেল রানার। কৃষক বাবার দুই ছেলের মধ্যে সোহেল ছোট এবং আদরের। তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন এবং আশা বেঁধেছিলেন তার বাবা। বড় ছেলেকে লেখাপড়া করাতে পারেননি। তাই ছোট ছেলেকে দিয়ে স্বপ্ন বুনেছিলেন কৃষক বাবা। কিন্তু ট্রেনের ধাক্কায় সব স্বপ্ন ভঙ্গুর হয়ে গেল।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাবরা রেলগেট এলাকায় সকালে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহেল রানা উপজেলার খামারমুন্দিয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের ছোট ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ সরকারি মাহাতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, সকালে সোহেল বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন। পথে বাবরা রেলগেট পার হওয়ার সময় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোহেল।

সহোলের বড় ভাই জুয়েল মোবাইল ফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ছোট ভাইকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। সে লেখাপাড়া শিখে বড় অফিসার হবে। কিন্তু রাক্ষস ট্রেন ছোট ভাইকে এভাবে হত্যা করল, আমরা কিছুতেই মানতে পারছি না।’

কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনের মাস্টার জামাল খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোহেলের মরদেহ পরিবারের কাছে নিয়ে গেছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এনএ