দিনাজপুরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসিতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৪৯ জন পরীক্ষার্থী।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিজ্ঞপ্তিতে জানান দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. তোফাজ্জুর রহমান।

এবার করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত এইএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ঘোষিত ফলাফলে বেড়েছে পাসের হার। বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ২ ডিসেম্বর থেকে।

করোনার কারণে গত বছর ২০২০ সালের এইএসসি পরীক্ষায় অটোপাসের কারণে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে। তবে তার আগের বছর ২০১৯ সালে পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৭৮ ভাগ। ২০১৮ সালে ছিল ৬০ দশমিক ২১ ভাগ। আর ২০২১ সালে পাসের হার বেড়ে দাড়ায় ৯২ দশমিক ৪৩ ভাগ।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুর সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে মোট ৬৬৭টি কলেজের ২০৩টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেন ১ লাখ ৪ হাজার ৪৮৪ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৪৯। শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন ৫৩টি কলেজের। আর দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দুটি কলেজ থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি।

এ বছর ছাত্রদের পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৪ আর ছাত্রীদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ১০। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রের সংখ্যা ৭ হাজার ২৩২ জন ও ছাত্রীর সংখ্যা ৮ হাজার ১১৭ জন।

দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে ৮টি জেলার ফলাফলের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে রংপুর জেলা। রংপুর জেলায় মোট ২৩ হাজার ৮৭৬ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ২২ হাজার ৬৪৭ জন কৃতকার্য হন। আর জিপিএ-৫ পান ৬ হাজার ৭৫ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লালমনিরহাট। জেলার ৭ হাজার ৬৮১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ৭ হাজার ২৬৫ জন। জিপিএ-৫ পান ৬৪৯ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। 

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নীলফামারী। মোট ১২ হাজার ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ১২ হাজার ৫৮ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ২৩ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৭০০ জন।

চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুর। জেলার ২২ হাজার ৬৫৭জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ২০ হাজার ৯৬০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৪৮ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

কুড়িগ্রাম জেলার ১২ হাজার ৬১৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ১১ হাজার ৫৬৪ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৫ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬২ জন।

গাইবান্ধা জেলার ১৬ হাজার ১৭০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ১৪ হাজার ৬৩১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬৭২ জন। পাসের হার ৯০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

ঠাকুরগাঁওয়ের ৯ হাজার ৮১৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৮ হাজার ৮৭৮ জন পরীক্ষার্থী। পাসের হার ৯০ দশমিক ৪৬ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৪৩ জন পরীক্ষার্থী।

সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে পঞ্চগড়। জেলার ৭ হাজার ২৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেন ৬ হাজার ৪৮১ জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক ৮ ৩শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪০০ জন পরীক্ষার্থী।

ইমরান আলী সোহাগ/এনএ