কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ

কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে চারজন আত্মহত্যা করেছেন। তাদের তিনজন গলায় ফাঁস দিয়ে এবং একজন বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।

গলায় ফাঁস দিয়ে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া ও রামকৃষ্ণপুরে গ্রামে দুইজন, খোকসার সাতপাখিয়ায় একজন এবং ভেড়ামারা উপজেলার কুচিয়ামোড়ার বিষপানে একজন আত্মহত্যা করেছেন। 

রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দিনের পৃথক সময়ে আত্মহত্যা করেছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভেড়ামারা, খোকসা ও দৌলতপুর থানা পুলিশ।

আত্মহত্যাকারীরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মালয়েশিয়াফেরত তারেক আজিজ (২২), একই উপজেলার তারাগুনিয়া থানা মোড় এলাকার মৃত নান্নু মোল্লার ছেলে দিনমজুর দীপু আহমেদ (২২), খোকসা উপজেলার সোমসপুর ইউনিয়নের সাতপাখিয়া এলাকার খোকন আলীর মেয়ে সোমসপুর গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী খুকি (১৩) এবং ভেড়ামারা উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকার খায়রুল সরদারের ছেলে টুটুল সরদার (২২)।

মৃত আজিজ, দীপু, খুকি ও টুটুলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন তারা। আজিজ, দীপু ও খুকি নিজ ঘরে রোববার সকালে গলায় ফাঁস দেন। আত্মহত্যার খবর শুনে দৌলতপুর ও খোকসা থানা পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

২ ফেব্রুয়ারি বিষপান করেন টুটুল। ওই দিনই গুরুতর অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে তারেক ও দীপু আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে বিষপান করেছিলেন টুটুল। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খুকির মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

রাজু আহমেদ/এএম