দেশের চলমান সব মেগাপ্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনবিস্ফোরণ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই ২০২০-জুন ২০২৫) দলিল অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের চলমান মেগাপ্রকল্পগুলো কবে শেষ হবে, কবে আরেকটি স্পেন বসবে এবং উন্নয়নের সর্বশেষ পরিস্থিতি কী, এসব জানতে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়িতই বড় বড় প্রকল্পগুলোর পরিস্থিতি জানতে চায়।

মন্ত্রী বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জ্যস রেখে এখন থেকে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু এ পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত হয়েছে, সেহেতু আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নে টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে বেবি পরিকল্পনা বলে অবহিত করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ড. শামসুল আলম বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা ২০২০ অর্থবছরে ১১ হাজার ৩৬২ বিলিয়ন টাকা। এ ঋণ প্রবাহ ২০২৫ অর্থবছরে ২১ হাজার ১৯ বিলিয়ন টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বর্তমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

তিনি বলেন, ‘সেরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়লে বিনিয়োগ বাড়বে এবং তা বাড়তি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এছাড়া পুঁজিবাজারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী হিসাব ও নিরীক্ষা পদ্ধতি হালনাগাদ করে বাজারে আস্থা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত কৌশল অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

ড. শামসুল আলম বলেন, সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের টার্নওভার গত এক দশকের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকার মুদ্রাবাজারে সুদ হার হ্রাস, মানসম্পন্ন স্টকের তালিকাভুক্তকরণ এবং সক্রিয় নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এ পরিকল্পনা মেয়াদে একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সভায় ড. শামসুল আলম আরও বলেন, ‘এটাকে এখন আর সংশোধনের সুযোগ নাই। এটি কিন্তু এখন স্বীকৃত দলিল। এটি বাস্তবায়নে এখন এগিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’

এসআর/এসএম