ভারতে আগামী ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী রোড শো করবে তৈরি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং সওটেক্স। রোড শোর পাশাপাশি কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইটিআই) দুটি টেক্সটাইল সোর্সিং মিট করবে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।

এতে বলা হয়, বিজিএমইএ ২০৩০ সালের মধ্যে পোশাক রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের পোশাক শিল্পখাতে, নিজস্ব ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ তৈরি থেকে উৎপাদিত নির্ভরযোগ্য এবং মানসম্পন্ন কাঁচামালের পাশাপাশি চীন ও ভারত থেকে সহজলভ্য উপকরণ প্রয়োজন।

ম্যান-মেইড ফাইবার-ভিত্তিক পোশাকের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে এবং ভারত ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক ফেব্রিক্স, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশন ফেব্রিক্স উৎপাদনে বিশেষভাবে পারদর্শী ও নির্ভরযোগ্য উৎস। যেহেতু, ভারতীয় টেক্সটাইল সাপ্লাই চেইন অত্যন্ত বিস্তৃত এবং একইসঙ্গে খণ্ডিত, তাই বিজিএমইএ ফ্যাশন এবং টেক্সটাইল সামগ্রী আমদানির জন্য ভারতের সঠিক সরবরাহকারীদের সঙ্গে দ্রুত সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে সওটেক্স-টেক অ্যাগ্রিগেটর বিটুবি সোর্সিং প্লাটফর্মের সঙ্গে কাজ করছে। 

উল্লেখ্য যে, বিজিএমইএ অতিরিক্ত স্থল বন্দরগুলো খুলে দিতে, সেই সঙ্গে প্রেটাপোল-বেনাপোল সীমান্তে যানজট কমাতে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল যেন নির্বিঘ্নে রেলের মাধ্যমে আসতে পারে, সেজন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।

বিজিএমইএর প্রতিনিধি দলটি ভারতের শীর্ষ টেক্সটাইল প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশে দিল্লি, আহমেদাবাদ ও সুরাট শহরে রোড শো’তে যোগ দেওয়ার জন্য চার দিনের সফরে ভারত যাচ্ছে।

সওটেক্স ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে শুরু হতে যাওয়া এই টেক্সটাইল রোড শো’র কো-হোস্টিং করছে এবং সিআইটিআই, ডেনিম ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন, এসআরটিইপিসি এবং টেক্সটাইল মন্ত্রণালয়, জিওআইসহ কৌশলগত স্টেকহোল্ডারদের এই ইভেন্টে নেটওয়ার্কিং করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

প্রথম বৈঠকটি ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং তারপরে ১০ এবং ১১ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদ এবং সুরাটে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই বৈঠক বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন পোশাক রপ্তানির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা পূরণে ভারত থেকে বাংলাদেশে উচ্চ মানের ফেব্রিক্স এবং উপকরণ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছে বিজিএমইএ।

এমআই/জেডএস