গত বছর (২০২০ সাল) মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ফ্রিজ বিক্রি করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুতই বিশ্বমানের কোম্পানি হিসেবে ওয়ালটন গড়ে ওঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (২৮মার্চ) কোম্পানির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানান ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং বিভাগ) হুমায়ুন কবির। পুঁজিবাজার বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের কোম্পানিটির চন্দ্রা কারখানা পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান তিনি।

হুমায়ুন কবির বলেন, দেশের পাশাপাশি বিদেশেও ওয়ালটনের ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গত বছর ২০ লাখ ৪০ হাজার ফ্রিজ বিক্রি করেছি। করোনার কারণে বিক্রিতে কিছুটা অসুবিধা হলেও আমাদের পণ্যের চাহিদার ছিল অনেক বেশি।

এসময় কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলমগীর আলম সরকার, কোম্পানি সচিব প্রার্থ প্রতিম দাস এবং সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সহসভাপতি এম এম মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম এ কালামসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, ওয়ালটন হাইটেক পার্ক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। সাধারণ মানুষের মালিকানা আরও বাড়াতে ওয়ালটনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ও মার্সেলকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করবো।

কোম্পানির তথ্য মতে, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদে হাতে রয়েছে দশমিক ৯ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার। আর বাকি ৯৯ দশমিক ০৩ শতাংশ শেয়ার আছে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে।

প্রতিষ্ঠানটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এই টাকার ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ৩৩ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে কোম্পানটি। কোম্পানি সর্বশষে অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি কোম্পানির তালিকায় প্রবেশ করবে ওয়ালটন। এই লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের নামিদামি অনেক কোম্পানি ওয়ালটনের কাছ থেকে ইলেক্ট্রিক পণ্য তৈরি করছে।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন হাইটেক পার্ক রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার,কম্প্রেসর, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার,কম্পিউটারও ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন,হোম ও চিকেন অ্যাপ্লায়েন্স, ইলেকট্রিকাল অ্যাপ্ল্যোয়েন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস, হার্ডওয়ার, এলিভেটর এবং ক্যামিক্যালসহ নানা ধরনের পণ্য উৎপাদন করে বিক্রি করছে।

এমআই/এসকেডি