‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং উন্নয়ন নীতিমালা শিগগিরই চূড়ান্ত হবে’
জাতীয় অর্থনীতিতে দেশীয় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের অবদান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ডেভলপমেন্ট পলিসি প্রণয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ খাতের সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে শিগগিরই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে।
আজ (রোববার) শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পখাত বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফর উল্লাহ, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, টুলস অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক ড. সৈয়দ মো. ইহসানুল করিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জিনাত আরা, ইআরডির উপসচিব আব্দুল কাদের, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (ভ্যাট পলিসি) কাজী ফরিদ উদ্দীন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ এনামুল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাল্টি-ল্যাটেরাল ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক শরাফত উল্লাহ খান, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম পারভেজ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক সভায় অংশ নেন।
সভায় দেশীয় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের স্বার্থে বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিটাক, এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকসহ এ শিল্পের সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবগুলো দ্রুত তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় জানানো হয়, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রণোদনা নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত একটি তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিল্প সচিব কে এম আলী আজম লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিসিকে নতুন সেল গঠন এবং পুরান ঢাকার ধোলাইরপাড়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের জন্য বিটাকের উদ্যোগে মাস্টার ট্রেইনার তৈরির কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশ ব্যাংকের লো কস্ট ফান্ডের সুবিধা পেতে ইকুইটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ফান্ডে (ইইএফ) লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব কাজী ফরিদ উদ্দীন বলেন, দেশীয় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সহজে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট এসআরওতে কোনো জটিলতা থাকলে সেটি নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, হালকা প্রকৌশল শিল্প পণ্যে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন করা সম্ভব। এ শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
এসআই/এনএফ