কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ সভায় উপস্থিত অন্যরা

কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, শুধু মন্ত্রণালয়ে বসে থেকে গতানুগতিক কাজ করলে হবে না। বরং মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শনে যেতে হবে। দেশের কোন এলাকায় কী চাষ করা যাবে বা সম্ভাবনা আছে, তা চিহ্নিত করে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে।

রোববার (০৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। চলমান করোনার কারণে যদি খাদ্যসংকট বা দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া কঠিন হবে, অনেকক্ষেত্রে পাওয়াই যাবে না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের জনসংখ্যা প্রতিবছর ২২ থেকে ২৩ লাখ বাড়ছে; অথচ বিভিন্ন কারণে চাষের জমি কমছে। এই স্বল্প জমি থেকেই মানুষের খাদ্য এবং প্রাণী ও পোল্ট্রির ফিডের যোগান দিতে হবে। সেজন্য কৃষি বিভাগের সবাইকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সম্পাদনে পরপর দুই বার কৃষি মন্ত্রণালয় ২য় স্থান অর্জন করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই সাফল্যের পরও আমাদের সবাইকে আরও তৎপর থাকতে হবে, এপিএ বাস্তবায়নে নিষ্ঠাবান হতে হবে। 

কৃষি মন্ত্রণালয় ৯৩ দশমিক ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে ২য় স্থান অর্জন করেছে। পরপর দুই বার কৃষি মন্ত্রণালয় এপিএ সম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করে। 

পরবর্তী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সেটির একটি অঙ্গীকারনামাই হচ্ছে এপিএ বা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীনস্থ দফতর বা সংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ চুক্তি করে থাকে।

চুক্তি অনুযায়ী বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নম্বর দিয়ে থাকে।

এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচআর/জেডএস