মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করতে করোনার টেস্ট কিট, সার্জিক্যাল মাস্ক, সুরক্ষা পোশাক ও ডায়াগনস্টিক টেস্টের যন্ত্রপাতিসহ সংশ্লিষ্ট ৪৬ ধরনের পণ্য আমদানিতে যাবতীয় শুল্ক-কর অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

আদেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সব ধরনের শুল্ক মূল্য সংযোজন কর এবং অগ্রিম আয়কর মওকুফ করা হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মে) এনবিআরের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত বিশেষ আদেশে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ সুবিধা ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর একই সুবিধা দিয়ে আদেশ জারি করেছিল এনবিআর। নতুন এই আদেশের মাধ্যমে ওই সুবিধা আবারও বাড়ানো হলো।

নতুন আদেশে বলা হয়েছে, কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯, মূল্য সংযোজন কর ২০১২ এবং আয়কর আইন ১৯৮৪ এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় করোনার টেস্ট কিট, ডায়াগনস্টিক টেস্টের যন্ত্রপাতি, সার্জিক্যাল মাস্ক, প্রটেকটিভ গার্মেন্টস প্লাস্টিক ও মেডিকেল শিট, প্লাস্টিক ফেস শিট, ফুল বডি ওভেন স্যুট, মেডিকেল প্রটেকটিভ গগলস-সহ এসংক্রান্ত সার্জিক্যাল পণ্যগুলোর আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক, শুল্ক সম্পূরক, রেগুলেটরি ডিউটি, মূল্য সংযোজন কর, আগাম কর এবং অগ্রিম আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তবে এজন্য কিছু শর্ত প্রযোজ্য রয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর অনুমোদিত আমদানির ক্ষেত্রে এ সুবিধা কার্যকর হবে এবং আমদানি করা পণ্য মানসম্মত কি না তা ঔষধ প্রশাসন নিশ্চিত ও নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। একইসঙ্গে এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা পণ্যগুলোর আমদানিকারক এবং অনুমােদিত পরিমাণের তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন প্রতি ছয় মাস অন্তর ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর কর্তৃক জাতীয় রাজস্ব বাের্ডের কাস্টমস (নীতি) শাখা বরাবর দাখিল করতে হবে। 

আরএম/জেডএস