রোজিনার প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্তরাই ষড়যন্ত্র করছেন
ইআরএফ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের প্রতিবেদনের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারাই ষড়যন্ত্র করছেন। এসব করে লাভ হবে না। তাকে মুক্তি দেওয়া না পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সামনের দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যেসব কালো আইন রয়েছে, সেসব বাতিল করতে হবে। সাংবাদিকরা যদি তাদের অবস্থান ধরে রাখতে না পারেন, তাহলে স্বাধীন সাংবাদিকতা অস্তমিত হবে।
ইআরএফের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া কাজল বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আমলা নয় মানুষ হও। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে মানুষ নয়, আমলারা দানব হিসেবে তৈরি হচ্ছেন। এখন আমলারা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রণ করছেন।
বিজ্ঞাপন
ইআরএফের বর্তমান সভাপতি শারমিন রিনভী বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নামে মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। অফিশিয়াল সিক্রেটস আইন বাতিল করতে হবে। রোজিনা ইসলামকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, রোজিনা ইসলামের প্রতিবেদনের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারাই ষড়যন্ত্র করেছেন। সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যেসব কালো আইন রয়েছে, সেসব বাতিলের দাবি জানান তিনি।
সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, রোজিনা ইসলামকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই অন্যদেরও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, এমন চিন্তা থেকে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সবাইকে এক হতে হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রোজিনা ইসলামকে ফাঁসিয়েছেন। যারা রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও নির্যাতন করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একজন সরকারি কর্মকর্তা একজন নাগরিককে কীভাবে হেনস্তা করেন? এটা কোন ধরনের সভ্যতা? সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য সব কালো আইন বাতিল করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান। তিনিও রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ইআরএফের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন, শামসুল হক জাহিদ, সুলতান মাহমুদ ও খাজা মাঈনুদ্দিন।
আরএম/এসআই/আরএইচ