ভ্যাট ফাঁকি, ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে আরোপিত জরিমানার পরিমাণ রাজস্বের দ্বিগুণের পরিবর্তে সমপরিমাণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। 

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। ভ্যাট ফাঁকির জরিমানা ও সরল সুদ দুটোতেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট ফাঁকি, ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে আরোপিত জরিমানার পরিমাণ রাজস্বের দ্বিগুণের পরিবর্তে সমপরিমাণ করার প্রস্তাব করছি। মাসিক ‍সুদের হার ৪ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ করা হচ্ছে। বার্ষিক সুদের হার ২৪ শতাংশের পরিবর্তে ১২ শতাংশ নির্ধারিত হবে।

অন্যদিকে ভ্যাট আদায় বাড়াতে বাজেট মনিটরিংয়ে জোরদার হচ্ছে। রিটার্নের সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী জমা দেওয়ার বিধান রেখে ভ্যাট আইন সংশোধন করা হচ্ছে। এ জন্য আইনে নতুন ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে আর্থিক বিবরণী জমা দিতে হয় না।

এর আগে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন। 

বাজেট প্রসঙ্গে সম্প্রতি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়েই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট দেওয়া হবে। এ বাজেটে সবার স্বার্থ সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রাখা হবে। আগামী বছর একই ধারা থাকবে।

আরএম/এসএম