এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ইসিওএম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেট লিমিটেডের মধ্যে ৬ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে। করোনাভাইরাস থেকে ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবিকা টিকিয়ে রাখতে এবং কৃষি কাজকে এগিয়ে নিতে ৬ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকা। এ ঋণের মাধ্যমে এডিবিভুক্ত ২৭ হাজার ৮০০ জন কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন কফি ও কোকো উৎপাদনের ক্ষেত্রে।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) এডিবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ ঋণের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৮০০ ক্ষুদ্র কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে কফি এবং কোকো। এর মাধ্যমে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি এবং ভিয়েতনামের কৃষকরা উপকৃত হবেন। এটি এ কৃষকদের তারল্য সংকট নিরসনে কাজ করবে। করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে। এডিবির এ অর্থ কৃষকদের অগ্রিম দেওয়া হবে। কফি ও কোকো চাষের কৌশল, ডেটা সমাধান এবং আর্থিক স্বাক্ষরতা প্রবর্তনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কৃষকদের সক্ষমতা উন্নত করার ওপরও ফোকাস করা হবে।

এডিবি জানায়, একটি সময়পোযোগী প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া এবং পাপুয়া নিউ গিনিতে জলবায়ু-স্মার্ট কোকো এবং কফি চাষের সর্বোত্তম প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর্থিক স্বাক্ষরতার সক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে। মহামারি থেকে কৃষকদের পুনরুদ্ধারে আরও সহায়তা করবে। প্রযুক্তিগত সহায়তায় প্রায় ৪ হাজার কৃষককে উপকৃত করবে। এডিবি ঋণগ্রহীতা হলো ইসিওএম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রপ লিমিটেড। ইসিওএম এর মাদার কোম্পানি সুইজারল্যান্ডে।

ইসিওএম হলো বিশ্বের বৃহত্তম কফি মিলার। কফি, কোকো এবং তুলা উৎপাদনেও বিশ্বের অন্যতম। এই কোম্পানির প্রায় ৮ লাখ কৃষক কাজ করে বিশ্বের ৪০টি দেশে। একটি সমন্বিত পণ্যের উদ্ভাবক, প্রসেসর এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে কাজ করে এটি। কোম্পানির একটি লভ্যাংশ ভোগ করে থাকেন ক্ষুদ্র কৃষকরা। মূলত ক্ষুদ্র কৃষকের উন্নয়নে এডিবি ঋণটি ব্যবহার করবে ইসিওএম।

এসআর/এসএম