এনআরবিসি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে

ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। এজন্য আর্থিক প্রযুক্তির (ফিনটেক) ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল।  

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) তিন দিনব্যাপী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। করোনার সংক্রমণের কারণে এ বছর ভার্চুয়ালি এবং স্বশরীরে সম্মেলনে অংশ নেন ব্যাংক পরিচালক ও কর্মকর্তারা। ব্যবসায়িক সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিল্ডিং মার্কেট শেয়ার থ্রু ইনোভেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স’।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. মুখতার হোসেন। সম্মেলনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সব পরিচালক, বিভিন্ন কমিটির ও বিভাগের প্রধানসহ শাখা ও উপশাখার প্রধানরা অংশ নেন।

ব্যাংকের গত বছরের কার্যক্রম মূল্যায়ন ও নতুন বছরে পথচলার নির্দেশনা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, গত বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলার পাশাপাশির ঘুরে দাঁড়ানো ও টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে একদিকে মানবিক ব্যাংকের মর্যাদা পেয়েছি, অন্যদিকে ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য সব মানুষের ব্যাংকে পরিণত হওয়া। এজন্য আমরা রিটেইল, সিএমএসএমইতে মূল অগ্রাধিকার দিচ্ছি। জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আইপিও সাবস্ক্রিপশন শুরু হচ্ছে ৩ ফ্রেবুয়ারি।

তিনি বলেন, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের পাশে গিয়ে তাদের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করা। ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছাতে আর্থিক প্রযুক্তির (ফিনটেক) ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা, ঋণ আবেদন এবং বিতরণ সবকিছুই হবে নিমিষেই। 

সম্মেলনে জানানো হয়, বিদায়ী ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও ব্যাংকের সব সূচকে উন্নতি হয়েছে। ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ ৭ হাজার ৫১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। যা ২০১৯ সালে ছিল ৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। সম্মেলনে ২০২১ সালের ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের এপ্রিলে যাত্রা শুরু করা ব্যাংকটির শাখা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩। পাশাপাশি বিআরটিএ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসগুলোসহ সারাদেশে ব্যাংকটির উপশাখা রয়েছে ৪০০টি। যা যেকোনো ব্যাংকের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ঘরে বসে রাতদিন ২৪ ঘন্টা ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাচ্ছে ‘এনআরবিসি প্লানেট’ অ্যাপের মাধ্যমে।

এসআই/এইচকে