দেশের বিমা কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ ৬০ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশের জীবন বিমা কোম্পানির প্রবৃদ্ধি চারগুণ। সাধারণ বিমা কোম্পানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে তিনগুণ।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় বিমা দিবস-২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। বিমা কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ এখন ৬০ হাজার কোটি টাকা।

দেশের সম্পদের পরিমাণের তুলনায় এখনও টাকা অনেক কম উল্লেখ করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সম্পদ বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে  বাড়ি-গাড়ি, রেল, বাস-টার্মিনাল, রাস্তা-ঘাট এবং যাত্রীসহ নানা ধরনের বিমা চালু করার সুযোগ রয়েছে। এগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সব মানুষ ও সম্পদকে বিমার আওতায় আনতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যের আগে বিমা খাতের অবদানের জন্য এ বছর বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনসহ পাঁচ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে শেখ কবির হোসেনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বিমা খাতের অসামান্য অবদানের জন্য।

পুনঃবিমা প্রবর্তনে মাধ্যমে অবদান রাখার জন্য গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের উপদেষ্টা নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে সম্মাননা, মরণোত্তর আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় সন্ধ্যানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মকবুল হোসেন ও ন্যাশনাল লাইফের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফিজুর রহমানকে। এছাড়া বিমা খাতের সাবেক সচিব মোহাম্মদ নজুল ইসলামকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

বিমা দিবস উদ্বোধনের আগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বিমা চালু করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ঈশান আজান (অটিজম) ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রিমিকে পলিসি হস্তান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বিমার উদ্বোধন করা হয়।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) আয়োজিত বিমা দিবস উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, আইডিআরএর চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন এবং বিআইএর সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

‘বিমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাব সবাই মিলে’ প্রতিপাদ্যে আজ সারা দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে— বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিমা দিবসের আলোচনা সভা। প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। তাই জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত ১ মার্চকে ‘জাতীয় বিমা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি একটি আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এমআই/এসএসএইচ