সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৭৬ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২৩৮ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

এদিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রকৌশল, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এ খাতগুলো সূচকের উত্থানে অবদান রেখেছে। তবে সূচক পতনে অবদান রেখেছে বিমা ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো।

সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ২০৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ডিএসসিতে মোট ৩৭৬ প্রতিষ্ঠানের ৮৯ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তা থেকে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬১ কোটি ৭০ লাখ ১১ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ২ হাজার ২১২ কোটি ৮৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। 

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর ক্রমান্বয়ে ছিল লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আইএফআইসি ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মা, আল আরাফাহ ব্যাংক, মালেক স্পিনিং, ম্যাক্সন স্পিনিং, ওরিয়ন ফার্মা এবং শাইনপুকুর সিরামিক লিমিটেড।

সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ১৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৪টির। ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮০ টাকা।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অতিরিক্ত অর্থ তুলে নেওয়া এবং নয়টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন- এসব সিদ্ধান্তের কারণে বাজার নিয়ে আগের দুদিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা কাজ করছিল। কিন্তু আজ শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা কাটিয়ে বড় উত্থানে ফিরল পুঁজিবাজার।

এমআই/আরএইচ