পুঁজিবাজার স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, উত্থানের পর বেশ কয়েকদিন পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। বাজার এখন বটম লাইনে রয়েছে। আর কমার সুযোগ নেই, শেয়ারের দাম এখন বাড়বে।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, ভয়ের কিছু নেই, আমাদের পুঁজিবাজার এখন পরিপক্ক। সঠিকভাবে চলছে। একটু ধৈর্য ধরে বিনিয়োগ করুন। 

বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে ঢাকা পোস্টকে তিনি এ কথা বলেন।

গত ১০ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এই দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ২০১০ সালের ধসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, পুঁজিবাজারে সবাই মুনাফা করতে আসেন। গত ৫-৬ মাস বাজার ভালো ছিল। ফলে সূচক সাত হাজার ৩শ পয়েন্ট অতিক্রমও করে। এ অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ব্যক্তি বড় বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলেছেন।

তিনি বলেন, সবাই মুনাফা তুলে নেওয়ার কারণে পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। মূল্য সংশোধনকে ইস্যু করে বাজারে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে। এই গুজবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিনিয়োগকারীদের অভয় দিয়ে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার এ কমিশনার বলেন, বাজারে কারেকশন শেষ হয়েছে। বাজার সঠিক পথে আছে। এখন আবার ঘুরে দাঁড়াবে। অস্থির না হয়ে ধৈর্য ধরুন। পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা রাখুন।

তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনয়োগকারীদের উচিত পুঁজিবাজারকে আরও বেশি সাপোর্ট দেওয়া। কারণ দিন শেষে তাদের মুভমেন্ট পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে তাদের আরও বিচার বিশ্লেষণ করে শেয়ার কেনাবেচা করলে ভালো হবে।

শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ তাড়াহুড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা না করলেও মনে হয় তাদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এমন অস্থিরতার কোনো কারণ নেই।

বাজারে গুজবের বিষয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে বলেও জানান বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ।

এমআই/জেডএস