পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
>> বিদেশি প্রতিষ্ঠান সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে
>> শীর্ষ ব্রোকারদের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক
টানা তিন দিন দরপতনের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৭ জানুয়ারি) উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচক ও বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেন। এতটাই কমেছে যে এক হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে।
বুধবার ব্যাংক-বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ওষুধ ও রসায়ন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। এর ফলে টানা তিন কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল।
বিজ্ঞাপন
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংক পুঁজিবাজারে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থাৎ সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে এবং মার্জিন ঋণের বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ-৩০ মার্চেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, ‘হঠাৎ দরপতনের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে আজ আবার উত্থানের সময় শেয়ার বিক্রি কম করেছে। বিনিয়োগকারীরা এখন বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। আশা করছি, বাজার ভালো থাকবে।’
ডিএসইর তথ্যমতে, বুধবার এ স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩৬৩ সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৮টির, কমেছে ১২৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৯ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৭১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক এক দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়েছে।
এ দিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৯০৫ কোটি ৯০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১২৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা। যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৫৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ দিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৩টির, কমেছে ৯৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির।
এ স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে মোট ৪৭ কোটি ২৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৪৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, রবি আজিয়াটা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সিমকো ফার্মা, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স, এনার্জিপ্যাক, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পাওয়ার এবং সিটি ব্যাংক লিমিটেড।
দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিকন ফার্মা, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স, ম্যাক্সসন স্পিনিং, আইবিসি, হামিদ ফেব্রিকস, ন্যাশনাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, এসআলম কোল্ড এবং আলিফ ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এমআই/এফআর