পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচ্চ শিক্ষা মাস্টার্স ও পিএইচডির ছুটি ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬ বছর করা হয়েছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা অনুমোদন করা হয়েছে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক অনলাইন বৈঠকে এ নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌস জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, উচ্চতর শিক্ষা ছুটির সময় এতদিন ৫ বছর ছিল। এখন এটি ৬ বছর করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইউজিসির করা অভিন্ন নীতিমালা কিছু সংশোধনী করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউজিসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করবে।

ইউজিসির সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে একটি অভিন্ন নীতিমালা করে ইউজিসি। সেটা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করে চূড়ান্ত করলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির বাধার মুখে সেটি আটকে যায়। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর নীতিমালাটি চূড়ান্ত করার উদ্যোগী হন। এরপর কয়েকটি বৈঠক করে আজ তা চূড়ান্ত করা হলো।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। টিআইবিসহ দেশের বিভিন্ন সংগঠনের গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। সেজন্য সরকার একটি অভিন্ন নীতিমালা করার উদ্যোগী হয়।

তবে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে সরকারে জুড়ে দেওয়া যোগ্যতার উপরের প্রার্থীর নির্ধারণ করতে পারবে, নিচে কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হবে না। অর্নাস ও মাস্টার্সের ফলাফলে সিজিপিএ-তে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ দুটি স্তরে ৩.৫ করে মোট সিজিপিএ ৭ নির্ধারণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এনএম/এমএইচএস