প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করবে আগামী বিশ্ব
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
আগামী বিশ্ব পুরোটাই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করবে এমন মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। তাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদেরকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বব্যাপী ফিজিক্যাল, বায়োলজিক্যাল ও ডিজিটালাইজেশনের সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা অপরিহার্য।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আইডিইবি ও কলম্বো প্লান স্টাফ কলেজের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী এবং আমি উপস্থিত ছিলাম। ওই কনফারেন্সে ঢাকা ডিক্লারেশন হয়। ঢাকা ডিক্লারেশনের আলোকে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য আমি পরামর্শ দিয়েছিলাম। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ওয়ার্কশপ আয়োজনের জন্য আমি আইডিইবি’কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মানবসভ্যতার অভিন্ন শত্রু বৈশ্বিক করোনার কারণে পুরোবিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য দেরি হলেও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে আমরা বসে থাকিনি।
জাতীয় দায়বোধ থেকে অনুষ্ঠিত এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বিশেষজ্ঞ ও অংশীজন প্রাণবন্ত ও অর্থবহ আলোচনার মাধ্যমে একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র কারিগরি শিক্ষা বিষয় নয়, সাধারণ শিক্ষার বিষয়গুলোও মাথায় রেখে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। কারণ আগামী বিশ্ব পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করবে প্রযুক্তি।
শিক্ষানীতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। চারটি আন্তর্জাতিকমানের মহিলা পলিটেকনিক স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা সম্পর্কে আমরা অবহিত এবং এর সমাধানে সচেষ্ট রয়েছি। একইভাবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এনএম/জেডএস