বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঠিক করতে আগামী বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে বসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ (এইউবি)। বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও কেন্দ্র নির্ধারণসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, প্রতিবছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে পরিষদের বৈঠকে তারিখ ও আসন ঠিক করা হয়। এবার ১৭ ফেব্রুয়ারি এ বৈঠক ডাকা হয়েছে।

তিনি জানান, সাধারণ, কৃষি ও প্রকৌশল মিলে অর্ধেকের বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত তারিখ হবে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা তারিখ ঠিক করতেই এ বৈঠক। তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় চুয়েট, রুয়েট ও কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা জুনে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করছি ওই সময় অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গুচ্ছসহ অন্যান্য সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ সমন্বয় করতেই এ সভা ডাকা হয়েছে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। একই তারিখে যেন দুটি ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা না হয় সেটিও ঠিক করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, গুচ্ছতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে, সেগুলোর সঙ্গে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ সমন্বয় করার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছে। কবে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে এবং পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণের বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুয়েট এবং মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গুচ্ছতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে জুনে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।

তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর পরই পরীক্ষা আয়োজন করবে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এক্ষেত্রে গুচ্ছতে যাওয়া সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। গুচ্ছভুক্ত ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য কোথাও পরীক্ষার কেন্দ্র করতে চায় না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার গুচ্ছভুক্ত সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে সংশ্লিষ্টরা। এর বাইরে পরীক্ষার কেন্দ্র করা হবে না। কেননা অন্য কোথাও কেন্দ্র করলে সেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যাবে। সে ঝুঁকিতে যেতে চায় না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

এনএম/এমএইচএস