ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির আলোকে অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। কার্যক্রমটি গত ২০ মার্চ থেকে মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে।

প্রথম অ্যাসাইনমেন্টের পর বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দ্বিতীয় অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজগুলো দেওয়া হয়েছে।

সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে (সরাসরি বা অনলাইনে) নতুন অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করবে। মাউশির নির্ধারিত ওয়েবসাইট (http://dshe.gov.bd/) থেকে অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ ডাউনলোড করা যাবে।

অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, মহামারির কারণে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে নির্ধারিত পাঠ্যসূচির কার্যক্রম শুরু করা হয়ে ওঠেনি। এ কারণে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে পুনর্বিন্যাস করে শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে গত বছরের ন্যায় ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ধারাবাহিকভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এই মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিখন ফল সবলতা বা দুর্বলতা চিহ্নিত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত সময়ে কাজের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখন ফল মূল্যায়ন করা হবে। পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে কোন সপ্তাহে শিক্ষার্থীর কী মূল্যায়ন করা হবে সে বিবেচনায় অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ প্রণয়ন করা হয়েছে।

সপ্তাহ শুরুর দুইদিন আগে নিয়মিতভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজগুলো দেওয়া হবে। সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে (সরাসরি বা অনলাইনে) নতুন অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করবে।

এনএম/এমএইচএস/এমএমজে