আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) পহেলা বৈশাখ। এ উৎসবকে আনন্দমুখর করতে কয়েক বছর ধরে বৈশাখী ভাতা দিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে বৈশাখী ভাতা পাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সরকারি চাকরিজীবীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতা দেওয়া হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। মার্চ মাসের বেতন দেওয়ার পরপরই ১০ এপ্রিলের মধ্যে বৈশাখী ভাতা পাবেন সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা।

জানা গেছে, বৈশাখী ভাতার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় আলাদা একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে বিল পাঠায়। বিলটি মহাহিসাব নিরীক্ষক অফিস থেকে ছাড় হওয়ার পর পাস হয়। তারপর সরকারি চাকরিজীবীদের অ্যাকাউন্টে বৈশাখী ভাতা পাঠানো হয়। গত বছরের ১০ এপ্রিল এ ভাতা পেয়েছিলেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এবারও ১০ তারিখের মধ্যে এ ভাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, নববর্ষকে আনন্দমুখর করতে ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঘোষিত জাতীয় বেতন কাঠামোতে প্রথমবারের মতো বৈশাখী ভাতা চালু হয়। এটি কার্যকর ধরা হয় ওই বছরের ১ জুলাই থেকে। সে অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতা পেয়ে আসছেন। পাশাপাশি কিছু সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এ ভাতা দিয়ে আসছে।

এ প্রসঙ্গে অর্থবিভাগের উপসচিব মো. হেলাল উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, বৈশাখী ভাতার জন্য কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ভাতাটি মূল বেতনের সঙ্গে দেওয়া হয়নি। আলাদাভাবে করতে হয়। সেজন্য একটি বিল তৈরির কাজ চলছে। আশা করি ১০ এপ্রিলের মধ্যেই ভাতার টাকা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, মুজিববর্ষে সব সরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ভাতা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। এবার প্রথমবারের মতো অনলাইন সিস্টেমে এই ভাতার বিল প্রথমে সাবমিট করা হবে। বিল সাবমিট করার পর অ্যাকাউন্টস অফিস পাস করবে, পাস করলেই সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভাতা চলে যাবে। অর্থাৎ চলতি বছরের বৈশাখী ভাতা ইএফটিতে পাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এনএম/জেডএস