বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা চায় ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ভবন
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
একইসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইন-২০১০’ যুগোপযোগী করার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অ্যাপেক্সবডি ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি গত ২৭ ডিসেম্বর (রোববার) বঙ্গভবনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে হস্তান্তর করেছে ইউজিসি। কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহসহ কমিশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে এটি উপস্থাপনের কথা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
২০১৯ সালে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি, গবেষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষায় সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে ২৪ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০১৯ সালের কার্যক্রমের ওপর এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনটি ৫৬৮ পৃষ্ঠার।
প্রতিবেদনে ৪৬টি সরকারি ও ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য স্থান পেয়েছে।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, সংস্থার ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষার বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও করণীয় সম্পর্কে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর মধ্যে ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা করা। যা প্রতিবেদনে এরইমধ্যে আমরা সুপারিশ করেছি।
সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চৌর্যবৃত্তির ঘটনার দিন দিন বাড়ছে। এ ব্যাপারে কোনো নীতিমালা না থাকায় গবেষণাপত্র চুরি হরহামেশাই ঘটছে। উচ্চশিক্ষায় গবেষণার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির জন্য সুনির্দিষ্ট একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মধ্যে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বিধি-বিধানকে অমান্য করছে। এ কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি অভিন্ন আর্থিক নীতিমান করতে হবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথক আইনে পরিচালনা হওয়ায় শিক্ষক কর্মকর্তা নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায় না। তাই ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ দিয়ে পরিচালিত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে একটি ‘আম্ব্রেলা অ্যাক্ট’ একই ছাতার নিচে নিয়ে আসার জন্য সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে পারে।
একই সঙ্গে শিক্ষক কর্মকর্তা নিয়োগ পদোন্নতি, পদায়নের জন্য যোগ্যতা নির্ধারণী নীতমালা দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মকারী নিয়োগ, পদোন্নতির জন্য একটি অভিন্ন নীতিমালা করার জন্য ইউজিসি উদ্যোগ নিতে পারে।
এনএম/জেডএস