বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংগৃহীত ছবি

পিএইচডি প্রোগ্রামে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। ওইদিন থেকে  প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারে ডাকা যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান সাক্ষারিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। করোনার কারণে দেরি হয়ে যাওয়ায় স্কলারশিপের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে আগে থেকেই সাক্ষাৎকারের সময় দেওয়া হয়েছে। এরপর মাস্টার্স প্রোগ্রামে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের সময় দেওয়া হবে।

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর কমনওয়েলথ স্কলারশিপ-২০২১ এর জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও আগ্রহীদের কাছে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। 

অনেক বছর ধরে কমনওয়েলথের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনওয়েলথ স্কলারশিপের মাধ্যমে পিএইচডি ও মাস্টার্সে পড়াশোনার জন্য যাবতীয় অর্থ দেয় ইউকে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। 

কমনওয়েলথ বৃত্তির আর্থিক সুবিধাগুলো-

১. স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়েলথ কমিশন। 

২. যুক্তরাজ্যে যাওয়া-আসার বিমানের টিকিট।

৩. লন্ডনের বাইরে থাকলে মাসিক ভাতা হিসেবে দেওয়া হয় ১ হাজার ৮৬ পাউন্ড। লন্ডনের ভেতরে থাকলে ভাতার পরিমাণ ১ হাজার ৩৩০ পাউন্ড।

৪. মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন ৪২১ পাউন্ড পাওয়া যাবে।

৫. ‘স্টাডি ট্রাভেল গ্রান্ট’ হিসেবে ২০০ পাউন্ড বা প্রায় ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

৬ ‘থিসিস গ্রান্ট’ হিসেবে দেওয়া হয় ২২৫ পাউন্ড।

৭. এছাড়া কমনওয়েলথ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত যেকোনো প্রশিক্ষণ, স্বল্পমেয়াদী কোর্স, ওয়েলকাম ইভেন্ট ও আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগদানের জন্য ট্রেনের টিকেট, থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা করা হয়।

এনএম/এইচকে