ফাইল ছবি

করোনার কারণে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহসাই খুলছে না। তবে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে প্রাথমিকে ফের চালু হচ্ছে সংসদ টিভি, রেডিওসহ ভার্চুয়াল ক্লাস।

আর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের শিখন মূল্যায়ন করতে আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার গাইডলাইন তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) প্রস্তাব পাঠিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়  আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট চালু রাখতে মাউশিকে চিঠি দিয়েছে এনসিটিবি। গত রোববার এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমার জন্য সিলেবাস পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্ধারিত সিলেবাসের আওতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা মূল্যায়নের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির সপ্তাহভিত্তিক অ্যাসাইনমেন্টও প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা ও গার্হস্থ বিজ্ঞান বিষয়ের সিলেবাস ও অ্যাসাইনমেন্টের হার্ড কপি ও সফট কপি পাঠানো হয়েছে।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, কবে খুলবে তাও নিশ্চিত না। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মধ্যে রাখতে নতুন করে সিলেবাস কাস্টমাইজ করে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিতে মাউশিতে চিঠি পাঠিয়েছি। এরপরে আবার রমজানের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতি সপ্তাহে চারটি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। এখন সিদ্ধান্ত নিবে মাউশি।

এদিকে কবে থেকে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু হবে জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর মো. বেলাল হোসাইন বলেন, এনসিটিবির চিঠিটি রোববার পেয়েছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি লটারি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এনসিটিবির প্রস্তাবটি নিয়ে কাজ করতে পারিনি। তবে শিগগির আমরা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো।

এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংসদ টিভি, রেডিও এবং অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত থাকবে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম। তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে শিক্ষকরা ব্যস্ত থাকেন। তবে আগের মতোই টিভি-রেডিওতে ক্লাস অব্যাহত থাকবে। এরই মধ্যে নতুন শ্রেণির পাঠদান পরিচালনা করতে আমরা অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে কনটেন্ট তৈরির কাজ চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্গম এলাকায় আমাদের অনেক স্কুল রয়েছে। সেখানে ভার্চুয়াল ক্লাস থেকে অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের কথা বিবেচনা করে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেই ছুটি কয়েক ধাপে বাড়িয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।

এনএম/এমএইচএস