• ১৪ প্রকাশকের ১৬ বই বাতিল হচ্ছে  
• ধাপে ধাপে বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  
• বইয়ের দাম ৪০% বাড়ানো হয়েছে
• এনসিটিবির শোকজ, প্রকাশকের ক্ষোভ 

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্রের বই ২০০ পৃষ্ঠার। বইটির দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কিন্তু প্রকাশক ৬৪০ পৃষ্ঠার বই ছাপিয়ে ২৭০ টাকা মূল্যে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। ফলে একজন শিক্ষার্থীকে বইটি সংগ্রহে অতিরিক্ত ১৫৩ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। 
 
শুধু ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্রের বই নয়; একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাধ্যতামূলক ১২টি বিষয়ে কমপক্ষে ২০টি বইয়ের পৃষ্ঠা ও দাম বাড়িয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট প্রকাশকদের বিরুদ্ধে।
 
বিষয়টি এনসিটিবির নজরে আসলে তারা মাঠে নামেন। সংস্থাটির একাধিক টিম বাজার থেকে বই সংগ্রহ করেন। তারা অনুমোদিত বইয়ের পৃষ্ঠা ও দামের সঙ্গে বাজারের বিক্রি হওয়া বইয়ের পৃষ্ঠা ও দাম মিলিয়ে দেখেন। এতেই রীতিমতো ‘থ’ হয়ে যান কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, প্রত্যেকটি বইয়ের দাম গড়ে ৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থী যদি গড়ে ১৫টি বিষয়ে নোট বই কেনেন এবং ৪০ শতাংশ বেশি দামে যদি বইগুলো কিনতে হয় তাহলে একজন শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ৯০০ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে। অর্থাৎ প্রকাশকরা বইয়ের পৃষ্ঠা ও দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত সাড়ে ১২ কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা করছেন। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গেল বছর এসএসসি পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ পরীক্ষার্থী পাস করেন। এর মধ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৩ জন। অর্থাৎ প্রত্যেক শিক্ষার্থী সহায়ক বইয়ের নামে এসব নোট বা গাইড বই কিনে থাকেন। যার অনুমতি দেয় এনসিটিবি।
 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থী যদি গড়ে ১৫টি বিষয়ে নোট বই কেনেন এবং ৪০ শতাংশ বেশি দামে যদি বইগুলো কিনতে হয় তাহলে একজন শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ৯০০ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে। অর্থাৎ প্রকাশকরা বইয়ের পৃষ্ঠা ও দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত সাড়ে ১২ কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা করছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গিনিপিগ বানিয়ে এভাবে বছরের পর বছর ধরে চলছে অবৈধ এ ব্যবসা। 
 
অ্যাকশনে এনসিটিবি
উচ্চ মাধ্যমিকের সহায়ক বই হিসেবে যেসব বই বাজারে রয়েছে সবগুলো মূলত নোট বা গাইড বই। এসব বই বাজারজাত করতে বেসরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমোদন দেয় এনসিটিবি। এর আগে মূল পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিটি বইয়ের পৃষ্ঠার সংখ্যা ও মূল্য নির্ধারণ করে দেয় এ সংক্রান্ত কমিটি।
 
নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত বইয়ের সঙ্গে বাজারে বিক্রি হওয়া বইয়ের পৃষ্ঠা ও দাম ঠিক আছে কি-না, তা নিয়মিত যাচাই করার কথা। কিন্তু জনবল না থাকায় তা করতে পারেনি এনসিটিবি। অবশেষে গত নভেম্বর থেকে বাজার তদারকিতে নামে সংস্থাটি। বাজার থেকে বই সংগ্রহ করে রীতিমতো ‘থ’ হয়ে যান এনসিটিবির কর্মকর্তারা। প্রতিটি সহায়ক বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়িয়ে গড়ে ৪০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পান তারা।

কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। সেজন্য শোকজ করা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, এনসিটিবির চেয়ারম্যান

এমন অনিয়মের অভিযোগে গত নভেম্বর মাসে সাতটি এবং চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি আরও সাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় এনসিটিবি।
 
শোকজ করা ১৪ প্রতিষ্ঠান
১৪ জানুয়ারি শোকজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আলফা প্রকাশনী, অক্ষরপত্র প্রকাশনী, আইডিয়াল বুকস, লেকচার পাবলিকেশন্স, অ্যাবাকাস পাবলিকেশন্স, মুবীন পাবলিকেশন্স ও কাজল ব্রাদার্স। গত নভেম্বরে হাসান বুক হাউস, লেকচার পাবলিকেশন্স, অক্ষরপত্র, নাবিশা পাবলিকেশন্স, বাশার প্রকাশনী, কোয়ালিটি পাবলিকেশন্স, সিসটেক পাবলিকেশন্সকে শোকজ করা হয়। মোট ১৪ প্রকাশকের ১৬টি বিষয়ের বই এ শোকজের তালিকায় রয়েছে।
 
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার জবাব চেয়ে সাতদিনের সময় বেধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এনসিটিবি। একই সঙ্গে, নিয়ম ভঙ্গ করে অতিরিক্ত পৃষ্ঠায় ছাপানো এসব বইয়ের অনুমোদন কেন বাতিল হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এনসিটিবির কর্মকর্তারা। 
 
শোকজ নোটিশে আরও বলা হয়, এনসিটিবির নির্ধারিত পৃষ্ঠার চেয়ে প্রত্যেকটি বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়িয়ে বাজারে বিক্রি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন- ২০১৮ এর পরিপন্থী। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর বোঝা এবং পড়াশোনার ব্যয় বেড়েছে। 
 
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত খরচের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া একদম ঠিক হয়নি। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে, তাদের দুই ধাপে শোকজ করেছি। জবাব সন্তোষজনক না হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ শোকজ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

দোকানের সেলফে সাজানো নোট বই

কোন বইয়ের কত পৃষ্ঠা, দাম কত বাড়ল 
মুবীন পাবলিকেশন্সের জীব বিজ্ঞান প্রথম পত্রের ২৭০ পৃষ্ঠার বই ৪৩৬ পৃষ্ঠা করা হয়। নির্ধারিত দাম ১৭৯ টাকার স্থলে বিক্রি হয় ২৩৬ টাকায়। অ্যাবাকাস পাবলিকেশন্সের রসায়ন প্রথম পত্রের বই ২৫০ পৃষ্ঠার অনুমতি ছিল। সেই বই তারা ৯০২ পৃষ্ঠা করে ৩৬৫ টাকায় বিক্রি করছে। লেকচার পাবলিকেশন্সের রসায়ন প্রথম পত্রের বই ২৫০ পৃষ্ঠার স্থলে ৭৬৮ পৃষ্ঠা করা হয়। দাম ১৬৬ টাকার বদলে রাখা হয় ৩৯০ টাকা। অর্থাৎ বইটির জন্য শিক্ষার্থীদের ২২৪ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে। কাজল ব্রাদার্স একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্রের বইয়ের ২০০ পৃষ্ঠার স্থলে ৬৪০ করে। নির্ধারিত ১১৭ টাকার স্থলে রাখে ২৭০ টাকা। অক্ষরপত্র প্রকাশনীর জীববিজ্ঞানের বই ২৭০ পৃষ্ঠার। কিন্তু বইটি ৫০৪ পৃষ্ঠার করে ১৩২ টাকার স্থলে রাখা হচ্ছে ২৭৫ টাকা।

বিভিন্ন বিষয়ের বইয়ের যে পৃষ্ঠা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তাতে পুরো সিলেবাস কাভার করে না। বিষয়টি এনসিটিবিকে একাধিকবার বলেছি, বইয়ের পৃষ্ঠা ও মূল্য পুনর্নির্ধারণের জন্য। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। এখন তারা প্রতিষ্ঠান ধরে ধরে শোকজ করছে।

শ্যামল পাল, সহ-সভাপতি, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি

আইডিয়াল বুকস পদার্থ বিজ্ঞানের প্রথম পত্র ৩০০ পৃষ্ঠার জায়গায় ৮৫৬ পৃষ্ঠা করে ৩৭০ টাকায় বিক্রি করছে। নির্ধারিত মূল্য ছিল ১৯৬ টাকা। পর্দাথবিজ্ঞান প্রথম পত্র ৩০০ পৃষ্ঠার বইয়ের বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় ১৪৫ টাকা। কিন্তু ‘অক্ষরপত্র’ সেই বইয়ের পৃষ্ঠা ৭৩৬ করে দাম রাখছে ৩৬৫ টাকা। আলফা প্রকাশনী উচ্চতর গণিত বইয়ের ২৮০ পৃষ্ঠাকে ৪৪০ করে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। 
 
হাসান বুক হাউস ২২০ পৃষ্ঠার অর্থনীতি প্রথম পত্র বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়িয়ে ৬১৬ করে ২৮৫ টাকার স্থলে রাখছে ৩৫৪ টাকা। একই প্রকাশনীর ২৭০ পৃষ্ঠার জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র বইটির অনুমোদিত মূল্য ১৫৩ টাকা, কিন্তু ৫৪০ পৃষ্ঠা করে তা ২৬৫ টাকায় খোলাবাজারে বিক্রি করছে তারা। 
 
নাবীশা পাবলিকেশন্সের ২৫০ পৃষ্ঠার রসায়ন প্রথম পত্র বই ১৬৬ টাকায় বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু বাজারে পাওয়া বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৭২৮, দাম ৩১৫ টাকা। বাশার প্রকাশনীর ৩০০ পৃষ্ঠার পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র বইয়ের অনুমোদিত মূল্য ১৯০ টাকা। কিন্তু তারা ৩৬৮ টাকার ৮৭২ পৃষ্ঠার বই বাজারে সরবরাহ করেছে।
 
কোয়ালিটি পাবলিকেশন্স প্রকাশিত ২৫০ পৃষ্ঠার রসায়ন প্রথম পত্র বইটি ১২৪ টাকায় বিক্রির অনুমোদন দেয় এনসিটিবি। কিন্তু বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৭০ করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২৫ টাকায়। ৯০ টাকা দামের ২০২ পৃষ্ঠার ‘উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন’ দ্বিতীয় পত্র বইয়ের প্রকাশনা সংস্থা অক্ষর পত্র। কিন্তু তারা বইটি ৬৭০ পৃষ্ঠার ছাপিয়ে দাম রাখছে ২৭৫ টাকা।
 
লেকচার পাবলিকেশন্স ৩০০ পৃষ্ঠার হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র বইটি ১২১ টাকার স্থলে ৪৪০ টাকায় বিক্রি করছে। বাড়তি আয়ের জন্য তারা ছাপিয়েছে ১১৮৩ পৃষ্ঠার বই। সিসটেক পাবলিকেশন্সকে ২৮০ পৃষ্ঠার উচ্চতর গণিত প্রথম পত্র বইটি ছাপানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ১৫৭ টাকা। কিন্তু বাজারজাত করা হচ্ছে ২৬০ টাকার ৬৩০ পৃষ্ঠার বই।
 
এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন, এসব বই ছাড়াও বাজর থেকে পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, রসায়ন প্রথম পত্র, জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র, হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র, অর্থনীতি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র, ভূগোল প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্রের বইয়ের নমুনা সংগ্রহ করেছেন তারা। প্রতিটি বইয়ের মূল্য গড়ে ৪০ শতাংশ বেশি ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। 

শোকজ করা হয়েছে, সেখানে তারা নিশ্চয়ই সমস্যার কথা বলবেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে যদি প্রয়োজন মনে হয় তাহলে এ সংক্রান্ত কমিটি তাদের সঙ্গে কথা বলবে।

অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, এনসিটিবির চেয়ারম্যান

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, আগে জনবল না থাকায় বাজার মনিটরিং করা যেত না। এখন কর্মকর্তা রয়েছে। একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। তিনি আরও বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। সেজন্য শোকজ করা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 
অনৈতিকভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে উল্টো এনসিটিবিকে দুষলেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শ্যামল পাল। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ের বইয়ের যে পৃষ্ঠা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তাতে পুরো সিলেবাস কাভার করে না। বিষয়টি এনসিটিবিকে একাধিকবার বলেছি, বইয়ের পৃষ্ঠা ও মূল্য পুনর্নির্ধারণের জন্য। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। এখন তারা প্রতিষ্ঠান ধরে ধরে শোকজ করছে।’ 
 
শ্যামল পালের এমন মন্তব্যের বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘শোকজ করা হয়েছে, সেখানে তারা নিশ্চয়ই সমস্যার কথা বলবেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে যদি প্রয়োজন মনে হয় তাহলে এ সংক্রান্ত কমিটি তাদের সঙ্গে কথা বলবে।’
 
এনএম/এসএম/এমএআর