নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। একসময় তার অভিনীত ‘স্যাক্রেড গেমস’-এর মতো শো-কে ঘিরেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই নওয়াজউদ্দিনই এবার প্রবল ক্ষোভ উগরে দিলেন ওয়েব ওটিটির বিরুদ্ধে। জানালেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে সব বড় প্রোডাকশন হাউসের ধান্দাবাজির জায়গা! 

আন্তর্জাতিক এমি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অভিনেতা বিভাগে সম্প্রতি মনোনীত হয়েছেন নওয়াজ। আর সেটি নেটফ্লিক্সে তার অভিনীত সিরিজ ‘সিরিয়াস মেন’-এর জন্যই। কিন্তু তিনি ওটিটিকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বলেই জানাচ্ছেন অভিনেতা।

এক সর্বভারতীয় বিনোদন ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন নওয়াজ? তার কথায়, এই প্ল্যাটফর্মটা ইদানিং আবর্জনার স্তূপ হয়ে উঠেছে। এখানে এমন সব অপ্রয়োজনীয় শো দেখানো হয় যা দেখার মতোই নয়, নয়তো সেগুলির সিকুয়েলে আর নতুন কিছু দেখার মতো থাকে না।

কেন তিনি ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন? অভিনেতা জানাচ্ছেন, যখন ‘স্যাক্রেড গেমস’ করেছিলাম তখন ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ে একটা উত্তেজনার পরিবেশ ছিল। ছিল চ্যালেঞ্জও। নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়া হতো। সেই তাজা ভাবটা আর নেই। এটা হয়ে উঠেছে বড় হাউসগুলির ধান্দাবাজির জায়গা। যারা অভিনেতা ছিলেন তারা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এসে শুধুমাত্র ‘স্টার’ হয়েছেন।

বলিউডের শক্তিমান এই অভিনেতার আরও অভিযোগ, অনেক বেশি বেশি কন্টেন্ট বানাতে গিয়ে মান একেবারেই তলানিতে চলে যাচ্ছে।

সব মিলিয়ে ওটিটি তার কাছে অসহ্য হয়ে উঠেছে বলেও জানান নওয়াজউদ্দিন। তিনি বলেন, বড় পর্দার স্টার সিস্টেমও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজ ওটিটিতে আমরা তথাকথিত তারকাদের পাচ্ছি, যারা প্রচুর অর্থ রোজগার করছেন আবার বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মতো নাটকও করেন। তারা ভুলে যাচ্ছেন যে, আসল রাজা হলো কনটেন্ট। সেসব দিন চলে গেছে, যখন তারকারা রাজত্ব করতেন। লকডাউন আর ডিজিটালের আধিপত্যের আগে এই সব প্রথম সারির অভিনেতারা একসঙ্গে তিন হাজার হলে ছবি রিলিজ করতেন। ফলে মানুষের কাছে আর কোনও বাছাইয়ের সুযোগ থাকত না। এখন মানুষের কাছে অঢেল সুযোগ। 

এইচকে