সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে রাখা হয়েছে। এর আগে টানা চার মাস আইসিইউতে ছিলেন দেশের কিংবদন্তি এই নায়ক।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সিঙ্গাপুর থেকে ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান গণমাধ্যমকে জানান, ফারুকের শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। এখন কথা বলতে পারছেন তিনি। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু কাজ করতে পারছেন নিজেই। মাস দুয়েক আগে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে বিষয়টি তার পরিবার গণমাধ্যমের সামনে আনেনি। তাকে সুস্থ করে দেশে ফেরত আনতে চান বলেও জানান ফারুকের স্ত্রী।

তিনি আরও জানান, ফারুক এখন স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন, কথা বলতে পারছেন। ইবাদত করছেন নিয়মিত।

গত ২১ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন ফারুক। এর আগে ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

প্রসঙ্গত, অভিনয়ে আসার আগে ফারুক অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে। স্বাধীনতার বছর ১৯৭১ সালেই তিনি ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’সহ বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ফারুক। এছাড়া ২০১৬ সালে একই আয়োজনে তাকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা।

আরআইজে