নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বসলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বুধবার (২ মার্চ) হাই কোর্টের রায় পাওয়ার পর রাতে সমিতির কার্যালয়ে নিজের আসনে বসেন তিনি। যদিও বিকালেই এফডিসিতে যান জায়েদ। তবে সমিতির দরজায় তালা লাগানো ছিল বিধায় প্রবেশ করতে পারেননি।

কার্যালয়ে প্রবেশের আগে এফডিসির উন্মুক্ত স্থানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জায়েদ খান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কালজয়ী অভিনেত্রী সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস, তরুণ নায়ক জয় চৌধুরীসহ অনেকেই।

কথায় কথায় জায়েদ বলছিলেন, ‘আমি আমার সহশিল্পীকে (নিপুণ) বলবো, কী দরকার এসবের। ও কোর্টে যাচ্ছে। কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় হাঁটছে। এসব দেখে আমার খারাপই লাগে।’

জায়েদের কথার রেশ ধরে সুচরিতা বলেন, ‘ওর (জায়েদ খান) খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। নিপুণ তো তারও হিরোইন। তাই বড় বোনের আবদার নিয়ে বলি, এসব না করে তুমি নিজেকে নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করো। দুইবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছো। সেই সম্মানটা রাখো। অভিনয়ের চর্চাটা করো। অভিনয় ছেড়ে এসব করে কী লাভ?’  

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার পর আবারও কথা বলেন জায়েদ খান। গণমাধ্যমকে বলেন, ‌‌‘আমি তো জোর করে চেয়ারে বসিনি। শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আদালত থেকেও রায় পেয়েছি। তবু আমাকে বারবার চাপে রাখার জন্য, হয়রানি করার জন্য অন্য সংগঠনকে ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮ সংগঠন আছে, সমিতির উন্নয়নে কাজ করার কথা। কিন্তু তারা করেনি। কেন আমাকেই টার্গেট করা হয়েছে জানি না।’

এদিকে জায়েদ খানের পক্ষের এই রায় মানেন না নিপুণ। জানা গেছে, আজই (বৃহস্পতিবার) আপিল করবেন তিনি।

কেআই