যে কারণে আটকে আছে ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের তৃতীয় দিন চলছে। টিকার নিবন্ধন কার্যক্রমে গতি আনতে শুরুতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের কথা বলা হলেও, গুগল প্লেস্টোরের ‘প্রক্রিয়াগত’ জটিলতায় তা আটকে আছে। ফলে এখনও কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক নিবন্ধন হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সরকারি অ্যাপ গুগল প্লেস্টোরে আনতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হয়। আর এই প্রক্রিয়া শেষ হতেও সপ্তাহ পেরুবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। নিবন্ধনে আগ্রহী ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করতে শুরুতে ৫৫ বছরের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়েছে। কিন্তু টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের ১৩ দিন পার হলেও সুরক্ষা অ্যাপ না আসায় নিবন্ধনেও গতি বাড়ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মেডিকেল বায়োটেকনোলজি) ডা. মো. মারুফুর রহমান অপু ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অ্যাপ নিয়ে আমাদের যাবতীয় করণীয় শেষ। এখন আসার ব্যাপারটা নির্ভর করছে গুগলের ওপর, আমাদের কিছু করার নেই। ওরা যখন অ্যাপ্রুভ করবে, তখনই আসবে। আমরা গুগল প্লেস্টোরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে অ্যাপ আপলোড করে রেখেছি।’
বিজ্ঞাপন
আটকে থাকার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অ্যাপ আসতে একটু দেরি হওয়ার কারণ হলো- মাঝখানে ভেরিফিকেশন নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল। গুগল নিশ্চিত হতে চেয়েছিল এটা আসলে সরকারি অ্যাপ কি না। এই ভেরিফিকেশনের জন্য নতুন করে আরও কিছু কাগজপত্র চেয়েছিল। তারা আমাদের কাছে যেসব কাগজপত্র চেয়েছে, সেগুলো আমরা দিয়েছি। এখন হয়তো তারা আবার সেই কাগজপত্রগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এখনও তারা ভেরিফিকেশন ওকে করেনি। সবমিলিয়ে আরও সপ্তাহখানেক লেগে যেতে পারে।’
মারুফুর রহমান অপু বলেন, ‘এটা যদি কারও ব্যক্তিগত অ্যাপ হতো, তাহলে এতো সময় লাগত না। সরকারি অ্যাপ হওয়ার কারণে অনেক প্রসেসিংয়ের মধ্যে যেতে হয়।’
অ্যাপ না আসলেও বিকল্প ব্যবস্থা করেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যাপ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অ্যাপ আইসিটি মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে এবং গুগল প্লেস্টোরে আপলোড করেছে। এটা একটা প্রসেসিংয়ের বিষয়, তাই একটু সময় লাগছে।’
তিনি বলেন, ‘অ্যাপ না থাকায় আপাতত সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন চলছে। ওয়েবসাইটটি আইসিটি ডিভিশনের তত্ত্বাবধানেই চলছে। তারাই এটার দেখাশোনা করছে। নতুন একটা ওয়েবসাইট তৈরি হলে কিছু সমস্যা হতেই পারে। এক্ষেত্রে যখনই যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, আইসিটি ডিভিশনকে আমরা জানাচ্ছি এবং তারা সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করে দিচ্ছে। আমরা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ আছি। তাদের সঙ্গে সবসময়ই আমাদের যোগাযোগ আছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা বলেছি, কোনো কারণে অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যদি নিবন্ধন করতে দেরি হয়, তাহলে আপনারা টিকাকেন্দ্রে এসে হাতে নিবন্ধন করে নেবেন। পরে আমরা ওই কাগজগুলো আমাদের মূল সার্ভারে এন্ট্রি করে দেব। কাজেই অ্যাপ বা ওয়েবসাইট কোনো সমস্যা নয়, আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করে রেখেছি।’
টিকাকেন্দ্রেও নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কারও যদি অনলাইনে নিবন্ধন করতে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আমাদের উপজেলা-ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে এসে নিবন্ধন করবেন এবং সেখান থেকে এসেই টিকা নেবেন। যদি তথ্যকেন্দ্রেও নিবন্ধন করতে না পারেন, তাহলে টিকাকেন্দ্রে আপনাদের জন্য নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে, সেখানে এসে নিবন্ধন করে টিকা নিয়ে যাবেন।’
কয়েকদিনের মধ্যেই নিবন্ধনের হিড়িক পড়বে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা ভাবছি ৭ তারিখের আগেই কেন ৩৫ লাখ লোকের নাম এলো না, নিবন্ধন শুরুর আগেই কেন ৩৫ লাখ লোক রেডি না, কেন প্রতিদিন ১০/২০ লাখ করে নিবন্ধন হচ্ছে না? কিন্তু বিষয়টা আসলে এরকম না। কারণ, টিকা প্রয়োগ ও নিবন্ধন কার্যক্রমটা তো একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে, এখন এটা অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে। এখন পর্যন্ত যা নিবন্ধন হয়েছে, তাদের টিকা দেওয়ার মধ্যেই আরও দেখবেন ৬ লাখ নিবন্ধন হয়ে যাবে। তারপর আরও ১০ লাখ নিবন্ধন জমে যাবে। এভাবেই আস্তে ধীরে হবে। হুট করে তো এক-দুই দিনে সব হয়ে যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সারাদেশে আড়াই হাজার কেন্দ্র করি, প্রতিদিন তো আড়াই লাখের বেশি টিকা দিতে পারব না। তাহলে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দিতেও তো কমপক্ষে ১৬/১৭ দিন লেগে যাবে। এই সময়ের মধ্যে এমনিতেই এরও বেশি নিবন্ধন হয়ে যাবে। আর যদি না হয়, আরেকটু সময় লাগবে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।’
ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সারাদেশে যখন ২/৩ লাখ জনকে টিকা দেওয়া হয়ে যাবে, তখন নিবন্ধনের একটা হিড়িক পরে যাবে। কারণ, এখনও অধিকাংশ মানুষ পর্যবেক্ষণ করছে কি হয় না হয়, যখন দেখবে টিকা নেওয়ার পর সবাই ভালো আছে, কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি, তখনই নিবন্ধন কার্যক্রম ও টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম সামাল দিতে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তবে, মনে রাখতে হবে যে এটা এক দিনের ব্যাপার না।’
নিবন্ধনে যেহেতু ধীরগতি, সেরামের তিন কোটি ডোজ টিকা দিতে কয়দিন লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেরামের তিন কোটি ডোজ একসঙ্গে আসছে না। একেক মাসে মিলিয়ে আসছে। আমরাও তো সব একসঙ্গে দিচ্ছি না। প্রথমে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দিব। এভাবে আমাদের এই কার্যক্রম অনিদিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে।
চল্লিশোর্ধ্বরাও টিকা নিতে পারবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বয়সভিত্তিক টিকা পরিকল্পনায় শুরুতে ৫৫ বছরের বেশি ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা থাকলেও এখন থেকে চল্লিশোর্ধ্ব সব ব্যক্তিই টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বয়স ৪০ এর বেশি সব ব্যক্তি এবং টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির পরিবারসহ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সবাইকে টিকা নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ৪০ বছর বয়স থেকে নিবন্ধন করা যাবে, যা আগে ৫৫ বছর বয়স ছিল। ধীরে ধীরে তরুণ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও জানান, টিকা নেওয়া হলেও মাস্ক পরা ছেড়ে দেওয়া যাবে না। মাস্কের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। কেউ নিবন্ধন করতে না পারলে এনআইডি কার্ড নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে গেলে তাকে নিবন্ধন করে দেওয়া হবে।
টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৯২ জনের
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী গণটিকা প্রয়োগের দ্বিতীয় দিনে টিকা নিয়েছেন আরও ৪৬ হাজার ৫০৯ জন। টিকা নেওয়াদের মধ্যে ৭১ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রথম দিন টিকা নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। দু’দিন মিলিয়ে টিকা নিয়েছেন ৭৭ হাজার ৬৬৯ জন। প্রথম দিন টিকা নেওয়া ২১ জনের দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে দু’দিনে টিকা নেওয়া ৯২ জনের দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তবে যেকোনো টিকার ক্ষেত্রেই এটি স্বাভাবিক চিত্র বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার টিকা নেওয়া ৩১ হাজার ১৬০ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়েছেন ঢাকা মহানগরে; পাঁচ হাজার ৭১ জন। সবচেয়ে কম নিয়েছেন বরগুনায়; ৭৮ জন। গতকাল শতকরা হিসেবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার ০.০৬৭ শতাংশ। যা যেকোনো টিকার ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক চিত্র।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও সবচেয়ে বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগে; ১২ হাজার ৮২২ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরের মধ্যে টিকা নিয়েছেন সাত হাজার ১৭৮ জন। এই বিভাগে যারা টিকা নিয়েছেন; তাদের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৬৭১ এবং নারী তিন হাজার ১৫১ জন। এদের মধ্যে সাত জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদের চার জন রাজধানী ঢাকার। গত ৭ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকা নিয়েছেন ২২ হাজার ১৩৬ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৬৯২ এবং নারী পাঁচ হাজার ৪৪৪ জন। মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ১৭ জনের।
ময়মনসিংহ বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন দুই হাজার ৩৯৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৯৪৩ জন এবং নারী ৪৫১ জন। গত ৭ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এই বিভাগে টিকা নিয়েছেন চার হাজার ৮৭ জন, যাদের তিন হাজার ৩১৫ জন পুরুষ ও ৭৭২ জন নারী। তাদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সাত জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১০ হাজার ৪৮০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ টিকা নিয়েছেন আট হাজার ৭৫ জন এবং নারী দুই হাজার ৪০৫ জন। তাদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ১৭ জনের। এই বিভাগে গত দুদিনে সর্বমোট টিকা নিয়েছেন ১৬ হাজার ৯২৩ জন, যাদের ১৩ হাজার ১৮ জন পুরুষ এবং তিন হাজার ৯০৪ জন নারী। এ পর্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে মোট ২২ জনের।
রাজশাহী বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৫৬২, নারী এক হাজার ৮০ জন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ছয় জনের। সবমিলিয়ে, এই বিভাগে টিকা নিয়েছেন ৯ হাজার ৩৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ সাত হাজার ৪৭১ জন এবং নারী এক হাজার ৯২৮ জন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে মোট ১০ জনের।
এদিকে, রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন পাঁচ হাজার ৫০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৩০৮ ও নারী এক হাজার ১৯৫ জন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ১৯ জনের। সর্বমোট এ বিভাগে টিকা নিয়েছেন আট হাজার ৪১৫ জন, তাদের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৫৮৬ এবং নারী এক হাজার ৮২৯ জন। মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ১৯ জনের।
২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে টিকা নিয়েছেন চার হাজার ১৭০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ১২৮, নারী এক হাজার ৪২ জন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ১৩ জনের। এ বিভাগের সর্বমোট টিকা নিয়েছেন সাত হাজার ৪০৩ জন, যাদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৯১ জন পুরুষ ও এক হাজার ৮১২ জন নারী। এ জেলায় মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ১৪ জনের।
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন এক হাজার ৫৪৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ২৭১ এবং নারী ২৭৩ জন। এ বিভাগে সর্বমোট টিকা নিয়েছেন দুই হাজার ৯৫৬ জন। পুরুষ দুই হাজার ৩৯৪ ও নারী ৫৬২ জন। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা ঘটেনি।
সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন তিন হাজার ৯৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৮৮৫ জন এবং নারী এক হাজার ৬৯ জন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে দুজনের। এ বিভাগের সর্বমোট টিকা নিয়েছেন ছয় হাজার ৩৫০ জন, তাদের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৬৩২ এবং নারী এক হাজার ৭১৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে তিন জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, টিকা পেতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সর্বমোট অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৫ জন।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে এমআইএস পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সব টিকারই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। করোনা টিকা নেওয়ার পর যাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, সেগুলো তেমন কিছু নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে টিকা দেওয়ার স্থান লাল হয়ে গেছে। সামান্য জ্বর এসেছে কারও। একটু ব্যথা করছে- এমন তথ্য এসেছে।’
টিআই/জেডএস