দুই-তৃতীয়াংশ কিশোরীর মাসিক নিয়ে অগ্রিম ধারণা নেই: বিবিএস
অর্ধেকেরও বেশি কিশোরী ডিসপোজেবল প্যাড ব্যবহার করছেন না
দেশের ৫৭ শতাংশ কিশোরী এবং ৭১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারী মাসিকের সময় ডিসপোজেবল প্যাড ব্যবহার করেন না। আর প্রথমবার মাসিক হওয়ার আগে ঋতুস্রাব সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কিশোরীর।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিবিএস, ইউনিসেফ ও ওয়াটারএইডের উদ্যোগে জরিপটি পরিচালিত হয়।
বিজ্ঞাপন
জরিপে ৩০ শতাংশ কিশোরী বলেছেন, শেষ ছয় মাসে মাসিকের সময় তারা বিদ্যালয়ে যাননি। এই সময়ে তারা প্রতিবার মাসিকের সময় গড়ে আড়াই দিন করে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিল।
৩৬ শতাংশ কিশোরী বলেছেন, তারা ঋতুস্রাব সংক্রান্ত স্বাস্থ্যশিক্ষা বিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
৪৩ শতাংশ কিশোরী ও মাত্র ২৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারী জানিয়েছেন, তারা মাসিকের সময় ডিসপোজেবল প্যাড ব্যবহার করেন। অর্থাৎ, অর্ধেকেরও বেশি কিশোরী এবং দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক নারী ডিসপোজেবল প্যাড ব্যবহার করছেন না।
জরিপে উঠে এসেছে, দেশের মাত্র ২২ শতাংশ বিদ্যালয়ে স্যানিটারি প্যাড অপসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ঋতুস্রাব ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা মানসম্পন্ন টয়লেটও রয়েছে।
বিদ্যালয়ে পানি ও সাবানের সুবিধা রয়েছে এমন উন্নত ও ব্যবহারযোগ্য টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন মাত্র ৩৯ শতাংশ ছেলে-মেয়ে।
সরাসরি সাক্ষাৎকার, তাৎক্ষণিক যাচাই এবং প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপে।
এসআর/এসআরএস