সব প্রস্তুতি শেষ, জানুয়ারিতেই আসছে ভ্যাকসিন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএমএ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন আনার পুরো প্রস্তুতি শেষ। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জানুয়ারিতেই দেশে ভ্যাকসিন আসবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশে অক্সফোর্ডের তিন কোটি করোনার ভ্যাকসিন আসবে। এখন ভ্যাকসিন তৈরি ও অনুমোদনের অপেক্ষা।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বাংলাদেশে এখনও আঘাত হানেনি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো। এ জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউরোপের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। মৃত্যুর হারও কম। আমরা ভালো আছি, ভালো থাকতে চাই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
তিনি আরও বলেন, শুরুতে করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি জানা ছিল না। শুরুতে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। চিকিৎসকরা অব্যাহতভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনায় আমেরিকা ও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। ৮০ শতাংশ রোগী বাসায় থেকে টেলিমেডিসিনে ভালো হয়েছে। ২ হাজার ডাক্তার ও ১৫০০ নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বল্প সময়ে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক যারা মারা গেছেন এবং যারা আক্রান্ত হয়েছেন দ্রুততম সময়ে তাদের ইনসেনটিভ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। তাছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পুরো ইউরোপ লকডাউনে গেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনার ২য় ওয়েভ ঠেকাতে বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসময় চিকিৎসকদের সুস্থ ও সতর্ক থেকে সেবা চালিয়ে যেতে হবে বলেও তিনি জানান।
স্বাচিপ সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।
টিআই/এসএম