বেসরকারি হাসপাতালেও নির্ধারণ হবে চিকিৎসার মূল্য
করোনাবিষয়ক অনলাইন সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
সরকারি হাসপাতালগুলোর মতো বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসাসেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। শিগগিরই এটি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসে। এতে অনেক ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। আমরা চাই না এগুলো নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি হোক।’
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও নতুন স্ট্রেইন ছড়ানো রোধ’ সংক্রান্ত এক জরুরি ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত চিকিৎসার ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। সব হাসপাতালের ফি একরকম হবে না। হাসপাতালের মান ও সেবা অনুযায়ী চার্জ ভিন্ন হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে কিছুদিনের মধ্যে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্যাকসিনেশনে আমরা প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকেও সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মবিন খানের সঙ্গেও এ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের কিছু বিধিবিধান রয়েছে। সেগুলো অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ভ্যাকসিন আমদানিতে যুক্ত করা হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো। এজন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউরোপের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। মৃত্যুর হারও কম। আমরা ভালো আছি, ভালো থাকতে চাই। শুরুতে করোনার চিকিৎসাপদ্ধতি জানা ছিল না। সেসময় কিছুটা ঘাটতি থাকলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। চিকিৎসকরা অব্যাহতভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।’
‘করোনায় আমেরিকা ও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। ৮০ শতাংশ রোগী বাসায় থেকে টেলিমেডিসিনে ভালো হয়েছে। দুই হাজার ডাক্তার ও ১৫০০ নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বল্প সময়ে।’
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনায় সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের পূর্ণাঙ্গ সহায়তা প্রত্যাশা করেন। বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালসমূহের পক্ষ থেকে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সরকারকে সবধরনের সহায়তা দেবার অঙ্গীকার করেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার খান এমপিসহ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
টিআই/এমএআর/এফআর