মিয়ানমারজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মুখে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিয়েছে সামরিক জান্তা সরকার। বলা হচ্ছে, সশস্ত্র বাহিনীর কাজে বাধা দিলে সংশ্লিষ্টদের বিশ বছর পর্যন্ত কারাভোগ করতে হতে পারে। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইনের।

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নেওয়া সেনাবাহিনী তাদের হুঁশিয়ারিতে দীর্ঘ কারাভোগ ছাড়াও ‘ঘৃণা বা বিদ্বেষ’ ছড়ানোর জন্য জরিমানা করার কথাও জানিয়েছে।

মিয়ানমারের বেশ কিছু শহরে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানের টহল ও গুলির শব্দ শোনার দিনই সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রায় দুই সপ্তাহজুড়ে চলমান বিক্ষোভ দমনের লক্ষ্যে এমন হুঁশিয়ার উচ্চারণ করা হলো।  

জান্তা সরকার বেশ কিছু নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে অর্থদণ্ডসহ দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়, ‘যারা লিখে বা মৌখিকভাবে, যেকোনো কার্যক্রমের মাধ্যমে বা সশরীরে উপস্থিত হয়ে’ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই আইন কার্যকর করা হবে।

সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে বাধাদানকারীদের সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এ সময় যারা মানুষের মধ্যে ভয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন, তাদের তিন বছরের জেল হতে পারে। 

সোমবারও মিয়ানমারে টানা দশম দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে সামরিক সরকারবিরোধী জনতা

এদিকে সোমবারও মিয়ানমারে টানা দশম দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে সামরিক সরকারবিরোধী জনতা। তারা তাদের নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের মুক্তি ছাড়াও স্বৈরশাসন নিপাত যাক স্লোগান দিচ্ছেন। 

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী সু চির আইনজীবী কিন মং জ সোমবার বলেন, সু চি আরও দুদিন আটক থাকতে পারেন। আগামী বুধবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর একটি আদালতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হতে পারেন তিনি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি দিনের প্রথম প্রহরে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সু চিসহ মিয়ানমারের নির্বাচিত এনএলডি সরকারের মন্ত্রী ও শীর্ষ নেতাকর্মীদের আটক করে সামরিক জান্তা সরকার। আজ তার আটকাবস্থা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

এসএ